শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

ক্রিকেটা খেলোওয়ার এখন ক্ষেত মজুর |

/>
/>
/>
ক্রিকেটের এখন রমরমা অবস্থা। এমন কোনো ক্রিকেটার কি আর এখন খুঁজে পাওয়া যাবে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দু বছরের ক্যারিয়ারেও যে টাকা আয় হবে তা দিয়ে চলবে অন্তত কয়েকটা বছর। আর সেই ক্রিকেটারের জন্ম যদি হয় ভারতে তবে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই ভরত রাজার দেশের এক হতভাগ্য ক্রিকেটারের কথা জানিয়েছে সেই দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া; যে কিনা বিশ্বকাপ খেলার পরও আজ ক্ষেত মজুর!
এই তো সেদিন, ১৯৯৮ সালেও ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তারকা ছিলেন তিনি। এমনকি সেসময়কার রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণানের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এই সেই অল রাউন্ডার যিনি সে বছর ভারতকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে নিয়ে যান, তিনি এখন দিনের বেশি সময় কাটান ক্ষেত-খামারে। নাহ তিনি কৃষি ব্যবসা করছেন না। তার পেশা এখন মহিষ চড়ানো এবং খেতে টুকটাক কাজ করা। আর এই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এভাবেই খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এক তারকা ক্রিকেটার।
ভালাজি দামোর; ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১২৫ টি ম্যাচে ৩১২৫ রান আর ১৫০ টি উইকেট নিজের করে নেন। এখনও পর্যন্ত ইনিই ভারতের সব থেকে বেশি সংখ্যক উইকেট টেকার। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাতাকে থামাতে পারেনি। মোট আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্যে বিশ্বের প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপে যিনি ভারতকে সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, দারিদ্র্য এখন তার ছায়াসঙ্গী।
ক্রিকেটের এখন রমরমা অবস্থা। এমন কোনো ক্রিকেটার কি আর এখন খুঁজে পাওয়া যাবে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দু বছরের ক্যারিয়ারেও যে টাকা আয় হবে তা দিয়ে চলবে অন্তত কয়েকটা বছর। আর সেই ক্রিকেটারের জন্ম যদি হয় ভারতে তবে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই ভরত রাজার দেশের এক হতভাগ্য ক্রিকেটারের কথা জানিয়েছে সেই দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া; যে কিনা বিশ্বকাপ খেলার পরও আজ ক্ষেত মজুর!
এই তো সেদিন, ১৯৯৮ সালেও ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তারকা ছিলেন তিনি। এমনকি সেসময়কার রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণানের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এই সেই অল রাউন্ডার যিনি সে বছর ভারতকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে নিয়ে যান, তিনি এখন দিনের বেশি সময় কাটান ক্ষেত-খামারে। নাহ তিনি কৃষি ব্যবসা করছেন না। তার পেশা এখন মহিষ চড়ানো এবং খেতে টুকটাক কাজ করা। আর এই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এভাবেই খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এক তারকা ক্রিকেটার।
ভালাজি দামোর; ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১২৫ টি ম্যাচে ৩১২৫ রান আর ১৫০ টি উইকেট নিজের করে নেন। এখনও পর্যন্ত ইনিই ভারতের সব থেকে বেশি সংখ্যক উইকেট টেকার। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাতাকে থামাতে পারেনি। মোট আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্যে বিশ্বের প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপে যিনি ভারতকে সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, দারিদ্র্য এখন তার ছায়াসঙ্গী।

যে ১০ বড় তারকা এবার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না

/>
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে অনেক মহাতরকাই।  বিপদের মুহুর্ত থেকে বেঁচে গেছে সময়ের সেরা মেসি এব রোনালদো। তবে মন কাঁদলেও এবার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না ১০ বড় তারকা।
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নেইমার, সুয়ারেজ, এমবাপ্পে, ইসকোদের দল।  তবে সব তারকা কিন্তু এবার বিশ্বকাপে খেলবে না।  কিছু তারকাকে বিশ্বকাপ দেখতে হবে টিভির পর্দায় ।  দেখুন সেই তারকা কারা:
১. আবামেয়াং/>২. গ্যারেথ বেল />৩. এডিন জোকো/>৪. মার্কোস হামসিক />৫.জান ওবলাক />৬. রিয়াদ মাহরেজ/>৭.ক্রিশ্চিয়ান পালিসিক />৮. অ্যারিয়েন রোবেন/>৯. আলেক্সিজ সানচেজ />১০. অর্তো ভিদাল

ক্ষমতা থাকলে সব পুরস্কার মেসিকেই দিতাম

লিওনেল মেসির সঙ্গে কোনো ফুটবলারই প্রতিযোগিতা করে পারবে না। ইউরোপীয় ফুটবলে শততম গোল করার পর বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তমেউ এ কথা বলেন।
এর আগে অনেকবারই মেসির প্রশাংসা করেছিলেন বার্সা সভাপতি। ফুটবল বিশ্বের এ তারকাকে নিয়ে যে নতুন কিছু বলার থাকে না সেটি শিকার করেই কখনো মাঠে বসে কিংবা টিভির পর্দায় এ তারকার খেলা উপভোগ করেন।
এমন মাইলফলকের দিনে আর চুপ করে থাকেননি বার্তামেউ। পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের খেলায় অভিভূত বার্তমেউ বলেন, আমি যদি প্রতিযোগিতা মূলক কাজের জন্য পুরস্কার দিতে পারতাম তাহলে সবগুলো মেসিকেই দিতাম। কেউ তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেরে উঠবে না। সে একটা যুগ তৈরি করেছে। এবং সেই যুগে সেই রাজা।
বার্সা টিভিকে তিনি বলেন, মেসির বয়স এখন ৩০ হলেও তার খেলার ধার কমার কোনো লক্ষণ নেই।

বাংলাদেশী তারকার পড়াশুনা কতদূর জানেন?

টিভি-চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা হলে কী হবে! অনেকে কিন্তু শিক্ষাজীবনেও নায়ক। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে উচ্চশিক্ষিত তারকাদের সংখ্যা হাতেগোনা। স্বল্পদিনের ব্যবধানে খ্যাতির চূড়ায় ওঠায় নিয়মিত পড়াশোনা থমকে রয়েছে অনেকের। তাই অনেকেই নিজেদের শিক্ষা নিয়ে পারতপক্ষে মুখ খোলেন না। তারকাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে রয়েছে নানা মুখোরচক মিথও। দেশের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ও টিভি তারকাদের ‘কার বিদ্যা কতদূর’? অগ্রজরা এগিয়ে মঞ্চ ও নাটক মাধ্যমের শিল্পীদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত। একই সঙ্গে সিনেমার সিনিয়র তারকাদের অনেকেই উচ্চশিক্ষায় সার্টিফিকেটধারী। ঢাকার ছবির শুরুটাও অনেক বর্ণাঢ্য।জানা গেছে, চিত্রনায়ক আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের করাচিতে তিনি পড়াশোনা করেছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন স্নাতকসম্পন্ন। অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছাত্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। প্রয়াত খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। জাকিয়া বারী মম নাট্যকলায় স্নাতক শেষ করে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুমাইয়া শিমু পিএইচডি করছেন। চিত্রনায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের দাবি- যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করেছেন তিনি। খ্যাতিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই প্রতিষ্ঠানের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। সিনিয়র অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন বলে দাবি করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান। ফিল্ম স্টাডিজের ওপর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন স্বাগতা। চিত্রনায়ক রিয়াজের কলেজ জীবন শুরু হয় যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির মাধ্যমে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স একাডেমিতে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি সম্পূর্ণ করেন। চিত্রনায়িকা ববি হক আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। নায়িকা রত্না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। এছাড়াও রত্না সাফল্যের সঙ্গে এলএলবি পাস করেছেন সম্প্রতি। তিনি ঢাকা ক্যাপিটাল ল’কলেজ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী হিসেবে এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই কলেজের পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রত্না মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করেছেন। চিত্রনায়িকা আলিশা প্রধান ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান থেকে এ লেভেল সম্পন্ন করে অর্থনীতি পড়ছেন ইডিক্সেল-এ। আর নায়িকা আঁচল স্ট্যামফোর্ড থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। অর্চিতা স্পর্শিয়া ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। মডেল-অভিনেত্রী পিয়া লন্ডনকেন্দ্রিক একটি কলেজে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন এখনও। যারা ক্লাসে নিয়মিত নন হালের তরুণ প্রজন্মের তারকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকে শিক্ষাজীবন ধারাবাহিক রাখলেও নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন না। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। একই অবস্থা চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ারও। তিনি এআইইউবিতে বিবিএ’তে অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্রী। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পড়াশোনা করেছেন পিয়া বিপাশা। এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করছেন। নতুনদের মধ্যে সাবিলা নূর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিনয়শিল্পী জোভানও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক করছেন। মডেল বিথী রানী সরকার ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে (শান্তা মারিয়াম-উত্তরা ক্যাম্পাস), মৌসুমী হামিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনার একটি কলেজে অনার্সে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি কাজের ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারেন না। জানা যায়, বিদ্যা সিনহা মিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও বেশি দিন ক্লাস করতে পারেননি। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার পড়াশোনাও শেষ করতে পারেননি এ লাক্স সুন্দরী। নিয়মিত ক্লাস না করেও শিক্ষা জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। তিনি জানান, ক্লাসে না গেলেও নিয়মিত পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেন। পাশাপাশি শিডিউল না থাকলে ক্লাস করেন তিনি। তমা মির্জা আইনে পড়ছেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বড় তারকাদের শিক্ষাজীবন, অন্ধকারে তথ্য চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকে বলছেন, বড় নায়ক নায়িকারা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। ব্যস্ততা ও খ্যাতির খাতিরেই পড়াশোনা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যান তারা চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শিক্ষাজীবন নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি। বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি তিনি ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা জাদুকর জুয়েল আইচ ইউনিসেফ অ্যাডভোকেটের দায়িত্ব পালন করেছেন। জানা যায়নি এক সময়ের স্বনামখ্যাত চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শাবনুরের শিক্ষা জীবনের কোনও খবরও। তবে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলচ্চিত্র বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন বলে খবর মিলেছে। এই সময়ে বাংলা সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা চিত্রনায়ক শাকিব খান। অনেক কাছের মানুষও জানেন না তার শিক্ষা জীবন সম্পর্কে। তার এক ছবির প্রযোজক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘শাকিব খান কাছের মানুষদের বলতে শুনেছেন, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং প্রায়শই তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন। কয়েকটি সাক্ষাৎকারে অবশ্য তিনি নিজেকে স্নাতক পাসও দাবি করেছিলেন। ইদানীং বিষয়টি তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। তবে একাধিক ঘনিষ্ট ব্যক্তির মতে শাকিব খান এইচএসসি পাস করেছেন। নায়িকা অপু বিশ্বাস পড়েছেন এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুলে। এরপর আলোর মেলা, ক্রিসেন্ট হাই স্কুল এবং সব শেষে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে এরপর তার শিক্ষা জীবনের পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে রয়েছে রহস্য। অপু বিশ্বাস নিজে কখনও কাউকে এ বিষয়ে বলেননি। এছাড়া নায়িকা সিমলা শৈলকূপা গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি শৈলকূপা সরকারী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন বলে পড়াশোনার অকাল মৃত্যু ঘটে

আইটেম গানের কে কত পারিশ্রমিক নেন

/>
এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য মালাইকা নাকি এক কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। সে দাবাং-এর ‘মুন্নি বদনাম’ হোক কিংবা ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’ হোক< />কখনও ‘চিকনি চামেলি’ আবার কখনও ‘টিঙ্কু জিয়া’, বলিউডের মশলাদার গান কিংবা আইটেম নম্বরের চাহিদা কিন্তু দর্শকদের বেশ তুঙ্গে।
মালাইকা অরোরা খান কিংবা গওহর খান-দের সঙ্গে এখন সিনেমার আইটেম নম্বরে দেখা যাচ্ছে কারিনা কাপুর খান, ক্যাটরিনা কাইফদের মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের।
কিন্তু, জানেন কি, এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য বলিউড অভিনেত্রীরা কত করে পারিশ্রমিক নেন?এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য মালাইকা নাকি এক কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। সে দাবাং-এর ‘মুন্নি বদনাম’ হোক কিংবা ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’ হোক।
অভিনয়ের পাশাপাশি আইটেম নম্বরের জন্য সোনাক্ষী সিনহার দাবি ৬ কোটি করে।
‘বেবি ডল’-খ্যাত সানি লিওন তাঁর আইটেম নম্বরের জন্য ৩ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন।
‘রামলীলা’-য় ‘গালিও কি রাসলীলা’-র জন্য প্রিয়াঙ্কা নাকি ৬ কোটি করে নিয়েছিলেন।
কারিনা কাপুর খান আইটেম নম্বরের জন্য নেন ৫ কোটি করে। তাঁর ‘ফেভিকল’ এবং ‘মেরা নাম মেরি’ কিন্তু অন্যতম জনপ্রিয় আইটেম নম্বর বলিউডের।
‘শিলা কি জওয়ানি’ এবং ‘চিকনি চামেলি’খ্যাত ক্যাটরিনা কাইফ এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য ৩.৫ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। জিনিউজ

ডিম এবং দুধ সহবাসের আগে ?

আর কেউ নয় ’আমিই শাকিব খানের প্রিয়তমা’ বললেন বুবলী

/>
শবনম বুবলী। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী। ইতিমধ্যে চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। চারটিই দেশসেরা নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে। আরো কয়েকটি ছবিতে জুটি বাঁধছেন তারা।
শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে আপনি অভিনয় করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলি বলেন, হ্যাঁ, কথাটা সত্য। আসলে এই ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম ছয় মাস আগে। হিমেল আশরাফ তখন ছবির কাহিনী শুনিয়ে ছিলেন।

স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে? বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্লকর তথ্য

মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই। কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও। একটু গোড়া থেকে শুরু করি,
১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল।
তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন।
মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না। তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো।
একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে।
স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর।
মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই। কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও।
একটু গোড়া থেকে শুরু করি,
১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল।
তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন।
মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না। তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো।
একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে।
স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর।

ভবিষ্যতে ঢাকার রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি।

/>
ভবিষ্যতে ঢাকার রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি। এতে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রযুক্তির নানা উন্নয়ন ঘটবে দেশে। আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিন সকালে আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল বুধবার থেকে চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড চলছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় আসর এটি।সম্মেলনে আজ মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এ জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে। ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।’সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রাথমিক স্তরেও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির চেয়ে প্রাথমিকে আইটি শিক্ষা শুরু করা কঠিন হবে না। ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে বেশির ভাগ সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হবে। ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ সরকারি সেবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হবে। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘গত নয় বছরে বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা দ্রুত এগিয়েছি। ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছি। তরুণদের উদ্যোক্তা হতে পথ দেখাচ্ছি। পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’ বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের কর্মকর্তা জারিফ মুনিরের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিয়ে করেছেন ইমি


আক্‌দের অনুষ্ঠানে বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমির সঙ্গে ইমিজনপ্রিয় মডেল ইমি বিয়ে করেছেন। বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমি। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের এক রেস্তোরাঁয় তাঁদের আক্‌দ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজন আর বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ইমি আজ শনিবার দুপুরে নিজেই প্রথম আলোকে ফোন করে বিয়ের এই খবর জানিয়েছেন।
ইমি বলেন, ‘আমরা দুজনই র‍্যাম্প মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। গত বছর আজমির সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর আমাদের দুজনের অনেক কিছুই মিলে যায়। এই যেমন চিন্তা, ভাবনা, পরিকল্পনা, জীবনবোধ। একসময় আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। এই বিয়েতে আমার মা–বাবা খুব খুশি হয়েছেন। তাঁরা আমাদের দোয়া করেছেন। বিয়েতে আমার শাশুড়ি আর আজমির আত্মীয়স্বজনের অনেকেই চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। সব মিলিয়ে আমার খুব খুশি লাগছে।’
ইমি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ের সিদ্ধান্তে এই আক্‌দের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। আর সবকিছু আমি একাই গুছিয়েছি। তাই আগে অনেককেই জানাতে পারিনি।’
বিয়ের পর বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমির সঙ্গে ইমিইমি জানান, তাঁর বর আজমি এখনো র‍্যাম্প মডেলিং করছেন। পাশাপাশি চীনের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁর শ্বশুর এখন সৌদি আরবে আছেন। বিয়ের সময় তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই তিনি দেশে আসবেন। এরপর বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে ইমির বাসায় হলুদসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এখানে তাঁর আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

হালদা অ্যান্ড কোং


‘মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, পাতাল—কে কে আছ, একটু পানি দাও।’
হালদার একটা বড় ব্যাপার হলো, ছবিটির মধ্যে যিনি ঢুকে যাবেন, পাক্কা আড়াই ঘণ্টা তিনি অন্য পৃথিবীতে থাকবেন।’
টুকরা টুকরা কথা চলছে—অনেকটা ড্রেস রিহার্সেলের মতো।
 তৌকীর আহমেদের সহকারীর নাম মেঘ, তাঁর কাছে পানি চাইলেন তিশা। এই অভিনেত্রী যখন ঢক ঢক করে পানি গিলছেন, তখনই ছবির পরিবেশক জাহিদ হাসানের মুখে শোনা গেল ছবিটি নিয়ে মোক্ষম এক বাক্য, ‘পাক্কা আড়াই ঘণ্টা অন্য পৃথিবীতে থাকবেন।’
আগামীকাল ১ ডিসেম্বর থেকে সেই ‘অন্য পৃথিবী’ দর্শকের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। ‘যার বুকে ঢেউ থাকে তার বুকে ঘর, জোয়ারভাটার খেলা করে না তো পর’—এত দিন তৌকীর আহমেদ পরিচালিত হালদা ছবির এই গান দেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কাল থেকে সারা দেশের প্রায় ১০০ প্রক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন পুরো ছবিটি। এর মধ্যে ছবির ট্রেইলার এবং যে দুটি গান মুক্তি পেয়েছে, তা মন ভুলিয়েছে অনেকের। এখন হালদার অন্য পৃথিবীর খোঁজ জানতে চান সবাই।
অন্য পৃথিবীর নমুনা
সেই ‘পৃথিবী’র খবর জানাতেই ‘ড্রেস রিহার্সেল’ পেরিয়ে তাই ‘আসল’ আড্ডার শুরু। ছবির পরিচালক তৌকীর আহমেদকে ঘিরে তাঁর মহাখালীর অফিসে আড্ডা অবশ্য আগে থেকেই চলছিল—‘হালদা অ্যান্ড কোং’ মানে হালদার পাত্রপাত্রী তিশা, শাহেদ আলী, রুনা খান আর পরিবেশক জাহিদ হাসানের আড্ডা। কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিক আলাপ শুরুর আগেই কাট মারলেন জাহিদ।
আরেক জাহিদ—অভিনেতা জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম আর ফজলুর রহমান বাবু—ছবির এই অভিনয়শিল্পীদের আড্ডায় পেলে ষোলকলা পূর্ণ হতো নিশ্চয়, কিন্তু তাঁরা না থেকেও কম ছিলেন না। তাঁদের পক্ষে দুর্দান্ত প্রক্সি দিলেন পরিচালক। তৌকীরের প্রক্সির একটি নমুনা জেনে রাখুন:
‘ছবিটি চট্টগ্রামের হালদা নদীপারের মানুষকে নিয়ে, স্বাভাবিকভাবে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কথা বলেছেন চট্টগ্রামের আঞ্চিলক ভাষায়। তবে সারা দেশের মানুষ যাতে ভাষা বুঝতে পারেন, সে জন্য ভাষাটি খানিকটা সহজ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তো, ভাষার কারণে শুটিংয়ের প্রথম দিকে একটু ভড়কে গিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। একদিন আমাকে বললেন, তৌকীর ভাই, ছবিতে আমার চরিত্রটি যেহেতু একটু অবস্থাপন্ন, আমি প্রমিত উচ্চারণে কথা তো বলতেই পারি, তাই না? তাঁকে বললাম, না। তবে শেষ অব্দি তিনিসহ আমার সব পাত্রপাত্রী অসাধারণ করেছেন।
 ‘এই ভাষা নিয়ে কিন্তু কম কাণ্ড হয়নি। আমাদের ভাষাশিক্ষক ছিলেন ছবির সহকারী পরিচালক শিবলি। চট্টগ্রামের ভাষা শেখার জন্য আমাদের কাছে তাঁর ছিল দারুণ চাহিদা। আরও মজার বিষয় হলো, জাহিদ ভাই চট্টগ্রামের ভাষা বলতেন সিরাজগঞ্জের টানে, মোশাররফ ভাই বরিশালের টানে, রুনা আপা টাঙ্গাইলের টানে এবং আমি বলতাম নোয়াখালীর টানে। সে ছিল এলাহি কারবার।’
তিশার কথা শুনেই সবার কণ্ঠে হা-হা-হো-হো-হি-হি-হি। হাসির তুফানমেইল ছুটল।
নদী ও নারীর গল্প
হাসাহাসির আগে আনুষ্ঠানিক আড্ডার শুরুতে আমাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল একটু সিরিয়াস ধরনের—এত দিন পরে হালদা কেন? এর পেছনে কি কোনো দায়বোধ কাজ করেছে?
 ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীগুলো এখন মেরে ফেলছি আমরা। হালদা চট্টগ্রামের এমন এক নদী, যেখানে মাছের প্রজনন হয়, এই নদীও আজ বিপন্ন। নদী যেমন বিপন্ন, নারীও তেমনি বিপন্ন। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি আমাকে বরাবরই আকর্ষণ করে। ছবিতে বাংলাদেশকে দেখাতে চেয়েছি আমি। হ্যাঁ, শিল্পী হিসেবে একটা দায় তো কাজ করেছেই। নদী ও নারী—দুই অনুসঙ্গ ঘিরে এগিয়েছে সিনেমার গল্প।’
কথাগুলো তৌকীরের। সেই কথায় সায় জানিয়ে মাথা নাড়ছিলেন অন্যরাও। কিন্তু ‘ছবির কাহিনি কি একটু বলা যাবে?’, ছোড়ামাত্রই প্রশ্নটি কথার গুগলিতে উডিয়ে দিলেন তিশা, ‘না না, ছবির কাহিনি ফাঁস করা যাবে না।’
তৌকীর হয়তো বলতেন, কিন্তু তিশার অনড় অবস্থানের কারণে মুখে কুলুপ আঁটলেন। শুধু বললেন, ‘আমাদের ছবিতে একটি গল্প আছে—মানবিক সম্পর্কের গল্প। আছে নারীর বিভিন্ন রূপ।’
তিশার চরিত্রের নাম হাসু। ‘হাসু চরিত্রটি আমার কাছে হালদা নদীর প্রতিচ্ছবি। নদীর যেমন বাঁক আছে, রয়েছে উত্থান-পতন, আমার চরিত্রটিও তাই। জেলে সম্প্রদায়ের মেয়ে। প্রতিবাদী।’
এখানে হাসু চরিত্রবিষয়ক একটি গোপন কথা ফাঁস করলেন পরিচালক, ‘হাসু চরিত্রে তিশাকে নেওয়ার কথা বিপাশাই (বিপাশা হায়াত) প্রথম বলেছিল আমাকে। বলেছিল, তিশা হাসু চরিত্রের সঙ্গে যাবে।’
‘আই অ্যাম গ্রেটফুল টু বিপাশা আপা!’ তিশার গলায় বিস্ময়, কৃতজ্ঞতা ও আনন্দের যৌথ নাচন।
লুকোচুরি লুকোচুরি...
ছবির শুটিংয়ের সময় ভিড় করে থাকা দর্শনার্থীদের সঙ্গে লুকোচুরিও করতে হয়েছে হালদা অ্যান্ড কোংয়ের।
 তৌকীকের কথা, ‘শুটিং করতে গেলেই শত শত মানুষ ভিড়ে যেত। একবার তো লাঠিচার্জ করে ভিড় সরাল পুলিশ। শেষে নির্বিঘ্নে শুটিং করার জন্য দর্শনার্থীদের সঙ্গে একটু লুকোচুরি করলাম। শুটিং রাখলাম ভোর সাড়ে ৫টা থেকে। ৫টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা কোনো বাধা ছাড়াই শুটিং করতাম। দর্শনার্থীরা সাধারণত আসত ১২টার পর থেকে।’
সেই সব চরিত্রেরা
হালদায়মোশাররফ করিম বদিউজ্জামান, জাহিদ হাসান নাদের চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, মনু মিয়া, রুনা খান জুঁই আর শাহেদ আলী অভিনয় করেছেন নিবারণ চরিত্রে।
 ‘নিবারণ চরিত্রটি ট্রপিক্যাল বাঙালি। চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি।’ শাহেদের কথার পর তৌকীর জানিয়ে দিলেন আরেক গোপন কথা, ‘আদতে এটা শাহেদের পুরস্কার। আমার আগের সিনেমা অজ্ঞাতনামায় ও এত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছিল যে ওকে কাস্ট করেছিলাম চরিত্রটি রচনারও আগে।’
এক বাক্যে নিজের চরিত্র সম্পর্কে মেলে ধরলেন রুনা খান, ‘আমি বলব না জুঁই এ ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, তবে জুঁই ছাড়া গল্পটি সম্পন্নও হয় না।’ সঙ্গে এটিও জানাতে ভুললেন না, ‘এ ছবির শুটিংয়ের সময় তৌকীর ভাই ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর মতো নানা কিছু করেছেন।’
কেমন?
রুনার কথা কেড়ে নিলেন তিশা, ‘শুটিংয়ের প্রথম দিকে তৌকীর ভাই একবার জাহিদ ভাইকে কল দিলেন ভোর পাঁচটায়, সাড়ে পাঁচটায় শুটিং হবে। আমি ভাবলাম, এত ভোরে জাহিদ ভাই কি উঠবেন? ওমা, পরদিন চারটা কি সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে উঠেই দেখি জাহিদ ভাই বসে আছেন।’
‘আসলে জাহিদ ভাইয়ের মতো জ্যেষ্ঠ অভিনেতা যদি এত ভোরে উঠতে পারেন, তবে আমরা কোন ছার—এই ছিল পরিচালকের কৌশল। কৌশলটি কাজে লেগেছে।’ যোগ করলেন রুনা।
এবং অবশিষ্ট
মাত্র ২২ দিনে শুটিং শেষ। বাজেট ছিল অপেক্ষাকৃত কম। তবু হালদা নিয়ে আশাবাদী পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা। কেন?
 ‘হালদায় একটি নিটোল গল্প আছে। গান আছে। বিনোদনমূলক সিনেমায় যা যা থাকা দরকার সবই আছে।’
আর হালদার গানেই তো আছে, ‘আহা জীবন, কত ভালোবাসাবাসি’—ভীষণ ভালোবাসা দিয়ে এই সিনেমার শিল্পী-কুশলীরা ছবির ক্যানভাসে কেমনভাবে ‘নোনাজলে হাসাহাসি’ করেছেন?
চলুন এবার সেটুকু দেখি হলের পর্দায়।