মঙ্গলবার, ২৮ নভেম্বর, ২০১৭

দুর্দান্ত সাকিব-তামিমে ইতিহাস গড়লো বাংলাদেশ

মিরপুরে সিরিজের প্রথম টেস্টে রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে ২০ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ২০ রানের জয়
নিজেদের মাইলফলকে পৌঁছানোর ম্যাচে দলকে ২০ রানের দারুণ এক জয় উপহার দিলেন সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবাল। অর্ধশতক ও ১০ উইকেট নিয়েছেন সাকিব। দুই ইনিংসেই অর্ধশতক পেয়েছেন তামিম।
অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে পাঁচ টেস্টে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়। টেস্টে বাংলাদেশের জয় পৌঁছাল দুই অঙ্কে, ১০১ টেস্টে ১০টি। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ইংল্যান্ড, শ্রীলঙ্কার পর টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে হারাল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
অস্ট্রেলিয়া ২য় ইনিংস: ৭০.৫ ওভারে ২৪৪ (ওয়ার্নার ১১২, রেনশ ৫, খাওয়াজা ১, স্মিথ ৩৭, হ্যান্ডসকম ১৫, ম্যাক্সওয়েল ১৪, ওয়েড ৪, অ্যাগার ২, কামিন্স ৩৩*, লায়ন ১২, হেইজেলউড ০; মিরাজ ২/৮০, নাসির ০/২, সাকিব ৫/৮৫, তাইজুল ৩/৬০, মুস্তাফিজ ০/৮)
টিকলেন না হেইজেলউড, বাংলাদেশের জয়
জশ হেইজেলউডকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলে অস্ট্রেলিয়াকে গুটিয়ে দেন তাইজুল ইসলাম। ২৬৫ রানের লক্ষ্য তাড়ায় অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ২৪৪ রানে।

ঈশ্বরগঞ্জে শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন ও জনগনের ক্ষমতায়ন দিবস উযাপিত

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন ও ‘জনগনের ক্ষমতায়ন’ উদযাপন করেছে উপজেলা যুবলীগ। দিবসটি উপলক্ষ্যে গতকাল বিকাল ৪টায় উপজেলা যুবলীগ এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানে উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মতিউর রহমান মতির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবেক এমপি আব্দুছ ছাত্তার।

উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান জুয়েল ও দেলোয়ার জাহান মামুন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন। অনুষ্ঠানে দোয়া মাহফিল ও মিলাদ পরিচালনা করেন মাওলানা কতুব উদ্দিন আনছারী।

দোয়ায় অসুস্থ শেখ হাসনিার রোগ মুক্তি ও দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত নেতাকর্মীদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক মেয়র হাবিবুর রহমান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলম প্রদিপ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহববুর রহমান প্রমুখ।

ঈশ্বরগঞ্জে এক আনসার সদস্যের সমাজ সেবা সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে এক আনসার সদস্যের সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের সুফল ভোগ করছেন এলাকাবাসী। উপজেলার পৌর সদরের কাকনহাটি গ্রামের নিজাম উদ্দিন আহামদের ছেলে ফয়সাল আহামদ একজন আনসার সদস্য। এলাকায় সন্ত্রাস, মাদক ও ইভটেজিং প্রতিরোধে তার কর্মকান্ডের জন্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে এলাকাবাসীর।

মাদকসেবী ও বখাটে ছেলেদের ইভটিজিং থেকে স্কুলগামী ছাত্রীদের রক্ষা করতে তার সমবয়সীদের নিয়ে একটি প্রতিরোধ দল গঠন করে এলাকায় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। ফয়সাল আহামদ স্কুলে স্কুলে জঙ্গিবাদ বিরোধী প্রচার প্রচারণা চালিয়ে সচেতন করছে শিক্ষার্থীদের। এলাকায় অক্ষরজ্ঞান নেই এমন বয়স্কদের নিরক্ষর মুক্ত করতে চালু করেছে বৈকালীন শিক্ষা কেন্দ্র।

তার নানা মুখী সমাজ সেবামূলক ও ইতিবাচক কার্যক্রমের সুফল ভোগ করছে এলাকাবাসী। সমাজ সেবামূলক এসব কার্যক্রমের স্বীকৃতি হিসেবে উপজেলা শিক্ষা বিভাগসহ বিভিন্ন প্রমাসনীক বিভাগ থেকে মিলেছে প্রসংশা পত্রও। এলাকাবাসী জয়নাল আবেদীন জানান, আনসার সদস্য ফয়সাল আহামদের সেবা মূলক কার্যক্রম তারা ভিষণ খুশি।

তার বিভিন্ন সেবা মূলক কার্যক্রম ইতমধ্যে এলাকায় সারা ফেলেছে। এতে অন্য যুবকরাও উৎসাহী হচ্ছে। তার পরিশ্রমের সুফল ভোগকরছে এলাকাবাসী। আনসার সদস্য ফয়সাল আহামদ জানান, ২০১৪ সালে মাত্র ১০দিনের একটি প্রশিক্ষণ শেষে আনসার সদস্য হয়ে কাজ শুরু করেন। প্রশিক্ষণে ভাল করায় তাকে দল নেতা হিসেবে ডাকদেন।

২০১৬ সালের ১মার্চ থেকে ওয়ার্ড দলনেতা হিসেবে কাজ করছেন। আনসারের কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সমাজের প্রতি একটু নিজের দায়িত্ববোধ তৈরী হয়। সেই দায়িত্ববোধের তাড়নায় সমাজ সেবমূলক অল্প কিছু কাজ শুরু করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি লেখা পড়াও চালিয়ে যাচ্ছেন।

বর্তমানে তিনি ঈশ্বরগঞ্জ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের ২য় বর্ষে ¯œাতক সম্মান শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বদরুল আলম খান জানান, ফয়সাল আহামদ খুবই সক্রিয় একজন আনসার সদস্য।



তার সহযোগিতায় এলাকায় মাদক, সন্ত্রাস ও ইভটেজিং রোধে বেশ সফলতা পেয়েছেন। তাকে কোন কাজ দিলে সে কাজটি আন্তরিকতার সহিত করে বা পুলিশ কে সহযোগিতা করে। তার সমাজ সেবা মূলক কার্যক্রম বেশ প্রশংসনীয়।

হালুয়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় ডাক্তার ১জন

ময়মমনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ লক্ষাধিক মানুষের চিকিৎসা সেবায় ডাক্তার রয়েছে এক জন। পর্যাপ্ত সেবা পাচ্ছে না বলে রোগীদের অভিযোগ।

জনবলের অভাবে যন্ত্রপাতি অকেজো ও নষ্ট হয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ পরে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার ও জনবল সংকটে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমে বেহত অবস্থা হচ্ছে। উপজেলার প্রায় ৫ লক্ষাধিক জনগোষ্ঠীর সেবায় মেডিক্যাল অফিসার ২১ জন থাকার কথা থাকলেও কাগজে পত্রে আছে ৭ জন। বিভিন্ন অযুহাত দেখিয়ে ৭ জনের মধ্যে কর্মরত আছেন মাত্র ১জন।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সনের ৯ জুলাই স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্য পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় করা হয়। উদ্বোধনের ৭ বৎসর পেরিয়ে গেলেও নামেই রয়েছে ৫০ শয্যার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স।

হাসপাতালে গিয়ে রোগীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা পর্যাপ্ত পরিমাণে সেবা পাচ্ছে না, সাধারণ জ্বর, সর্দি কাশি ব্যতীত জটিল কঠিন রোগের চিকিৎসা সেবা এখানে দেওয়া হয়না। ফলে সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলা প্রত্যন্ত অঞ্চলের জনসাধারণ।

ভর্তিকৃত রোগীদেরও রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ। ১০ অক্টোবর সকালে সরজমিনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, মেডিক্যাল অফিসারের পরিবর্তে রোগী দেখছেন ২ জন উপ-সহকারী কমিউনিটি কর্মকর্তা ১ জন মোহাম্মদ জাকারিয়া অপরজন আনিসুর রহমান। অপরদিকে মেডিক্যাল অফিসারদের প্রতিটি রুমে তালা ঝুলছে।

এক্সরে মেশিন ১৫ বছর ও অটোক্লেভ মেশিন প্রায় ১ বছর যাবৎ নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃ পঃ কর্মকর্তা আব্দুল কাদির ডাক্তার সংকটের কথা স্বীকার করে বলেন, এখানে ডাক্তার বেশীদিন থাকতে চায় না।

প্রতি মাসে ডাক্তার সংকটের ব্যাপারে আমরা প্রতিবেদন পাঠাচ্ছি। মেশিনগুলো মেরামত করার কোন উদ্যোগ নিয়েছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেন নি। বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, বর্তমানে হাসপাতাল নিয়ন্ত্রন হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট সিন্ডিকেটের মাধ্যমে। রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং প্যাথলজির কালো থাবায় পড়ে ব্যাহত হচ্ছে হাসপাতালের চিকিৎসা কার্যক্রম।

অনবরত চলছে অনিয়ম দূর্নীতির মহোৎসব। অভিযোগ রয়েছে ডাঃ আব্দুল কাদের তার নিজ অফিসে বসে রিপ্রেজেন্টেটিভ ও প্যাথলজি মালিকদের নিয়ে প্রকাশ্যে ধূমপান সহ আড্ডায় মগ্ন থাকেন। আর সেই সুযোগে ডাক্তার বিহীন ভূতুরে হাসপাতালে রোগী দেখেন কর্মচারী থেকে আরম্ভ করে নার্স, আয়া ও উপ-সহকারী কমিউনিটি কর্মকর্তাগণ।

অভিযোগ রয়েছে ডাক্তার আব্দুল কাদেরের স্ত্রী জাহানারা বেগমের বিরুদ্ধে। সেবা নেই, তবুও সে সেবিকা। আছে শুধু হাজিরা খাতা মেইন্টেইন। মাস শেষে প্রায় ৩০ হাজার সরকারি টাকা উত্তোলন। প্রায় ১০ বৎসর যাবৎ চলছে এ অনিয়ম।

একদিকে কর্মে ফাঁকি অপরদিকে সরকারি টাকা আত্মসাৎ। হালুয়াঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স জাহানারা বেগম। জাহানারা বিগত ২০০৬ সনের ৩ রা ডিসেম্বর অত্র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। অত্র উপজেলায় একটি রোগীও নেই যাকে তিনি সেবা প্রদান করেছেন। তাকে কখনো হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স হিসেবে পাওয়া যায় না।



এমনি অসংখ্য অভিযোগ অনিময় দূর্নীতি ক্ষমতার অপব্যবহার, ডাক্তার সংকট, এ্যাম্বোলেন্স সংকট ও অবৈধ সিন্ডিকেটের প্রভাবে হাসপাতাল পরিনত হয়েছে নৈরাজ্যের কসাই খানায়। উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি তা অস্বীকার করেন।

শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে : অধ্যাপক ডা: এম এ আজিজ

মো: নাজমুল হুদা মানিক ॥ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ কনফারেন্স রুমে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ এর বিপ্লবী মহাসচিব, দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা এর আস্থাভাজন নেতা,ময়মনসিংহের গর্ব ও অহংকার অধ্যাপক ডাঃ এমএ আজিজ বিভিন্ন স্তরের চিকিৎসক ও ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।

তিনি চিকিৎসক ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল চক্রসহ বিভিন্ন ষড়যন্ত্রকারীরা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। মাঠে ময়দানে ষড়যন্ত্রকারীরা সক্রিয়।

এসব ষড়যন্ত্রকারীরা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ১৯বার হত্যার চেষ্টা করেছে। তারপরও তারা থেমে নেই। তাদের ষড়যন্ত্র অভ্যাহত রয়েছে। তাই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের ভিতরে কোন ধরনের ভুল বুঝাবুঝি যাতে না হয়।

তিনি ডাক্তারদের উদ্যেশ্যে বলেন, জীবনের শেষ বিন্দু চেষ্টা দিয়ে রোগীদের সবা করতে হবে। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি রোগীদেরকে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা জানাতে হবে। ডা: আজিজ বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষের চিকিৎসা সেবা উন্নত করতে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।

এক সাথে ১০ হাজার ডাক্তার নিয়োগ দেয়ার নজির বিশ্বের কোথাও নেই। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করছে। রোহিঙ্গা সমস্যা, বন্যা সহ বিভিন্ন সমস্যার কথা চিন্তা না করে তিনি ৪মাস যাবৎ লন্ডনে গিয়ে বসে আছেন। বর্তমানে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বিএনপির নেতারাও জানেনা খালেদা জিয়া কবে দেশে আসবে।

তিনি বলেন, বিএনপি সহ অন্যান্য দলের যারা বড় বড় কথা বলে, দেশের মানুষকে স্বপ্ন দেখাতে চায়, তাদের সব কথা আজ মিথ্যা বলে প্রমানিত হয়েছে। তিনি বলেন,দেশের উন্নয়নে সকলকে সকল ভেদাভেদ ভুলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, সকলকে মনে রাখতে হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বেই দেশ এগিয়ে যাবে।

দেশের উন্নয়নের স্বার্থেই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো ক্ষমতায় আনতে হবে। তিনি আরো বলেন, শেখ হাসিনা জনগনের নেত্রী। জনগনই ভোট দিয়ে তাকে আবার ক্ষমতায় আনবেন। ডা: আজিজ বলেন, যারা বলতো পদ্মা সেতু সম্ব নয়।

প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাদের মুখে চুনকালি দিয়ে পদ্মা সেতু করা সম্বব এটি বাস্তবে প্রমান করে দিয়েছেন। জননেত্রী শেখ অসম্ববকে সম্বব করে প্রমান করেছেন আমরাও পারি।

ডা: আজিজ বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন, মায়ের মমতা নিয়ে তাদের আশ্রয়, খাবার, নিরাপত্তা, চিকিৎসা সেবা সহ বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নিয়ে এটি বিশ্বে একটি নজির বিহীন ঘটনা।

আর এ জন্য তিনি বিশ্ব নেত্রী হিসাবে জনগনের কাছে সমাদুত হয়েছেন। তিনি রোহিঙ্গাদের সমস্যা নিয়ে জাতিসংঘে বক্তব্য দিয়েছেন। এটি সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব মানবতা আজ শেখ হাসিনার প্রশংসায় পঞ্চমুখ।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা মুসলমান সহ অনান্য ধর্মের লোকদের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়েছে এটি বাংলাদেশের সাধারন মানুষের মাঝেও ইতিবাচক প্রভাব পরবে। তিনি বলেন, মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের নিয়ে অনেকেই অনেক উস্কানী দিয়েছে। সব কিছু নস্যাৎ করে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী মানবতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
পুনর্মিলনীর স্মৃতি অক্ষয় হোক, পুরোনো সেই দিনের কথা ভুলবি কিরে হায়, সেই চোখের দেখা, প্রাণের কথা, সেকি ভুলা যায়! মোরা সুখের দুখের কথা কব প্রাণ জুড়াবে তায়, তোরা ছিলি, তোরা আছিস, জানি তোরাই থাকবি, আরেকটিবার আয়রে সখা প্রাণের মাঝে আয়” আবেগাপ্লুত ভাষায় কথাগুলো উচ্চারণ করলেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের এম ১৬ ব্যাচের মেধাবী দেশবরেন্য ডাক্তারগণ।

দীর্ঘ ৩৮ বছর পর এ রকম ব্যতিক্রমধর্মী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে পুনর্মিলিত হতে পেরে নিজেদেরকে ধন্য মনে করছেন এম-১৬ ব্যাচের ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের প্রাক্তণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা।

বৃ¯পতিবার সকাল ১০টায় ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ক্যা¤পাসে আনন্দ শোভাযাত্রা শেষে অডিটোরিয়ামে অত্যন্ত জাকজমকপূর্ণ পরিবেশে আয়োজন করা হয় উক্ত কলেজের এম-১৬ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান।

এম-১৬ ব্যাচেরই এক মেধাবী ছাত্র দেশবরেণ্য ডাক্তার স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডাক্তার এম এ আজিজ অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানান, আমাদের ব্যাচেরই এক ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অধ্যাপক ডাঃ শাহানা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত চিকিৎসক হিসেবে বিশ্বনেত্রীর সেবা প্রদান করছেন।

তিনি আনন্দে বিহবল হয়ে মেডিক্যাল ক্যা¤পাস জীবনের অনেক বিষয়ের স্মৃতিচারণ করেন। ডাঃ এম এ আজিজসহ দেশবরেণ্য ডাক্তারগণ দীর্ঘদিন পর একত্রিত হতে পেরে মহানন্দে মেতে উঠেন।

এম ১৬ ব্যাচের বিজ্ঞ ডাক্তারগণ পুর্নমিলনীতে মহামিলনের মহানন্দ নিয়ে বাকী জীবন মহানন্দে কাটিয়ে দিবেন এমন প্রত্যাশা তাদের। সারাদিনের অনুষ্ঠানমালা শেষে সন্ধ্যার পর ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ অডিটোরিয়ামে জমকালো সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়।

বহু আকাঙ্খিত এম ১৬ ব্যাচের এই মিলন মেলায় সকাল ৮ টায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ প্রাঙ্গনে একটি মনোমুগ্ধকর র‌্যালী অনুষ্ঠিত হয়। আনন্দ র‌্যালীতে উপস্থিত ছিলেন এম ১৬ ব্যাচের ছাত্র, ময়মনসিংহবাসীর অহংকার, বাংলাদেশ স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের মহাসচিব,

যাকে নিয়ে বাংলাদেশের ডাক্তার সমাজ অহংকার করতে পারে, ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান, চরাঞ্চলের স্বপ্ন মাখা মুখ অধ্যাপক ডা: এম.এ আজিজ। র‌্যালী সমাপ্তের পর বন্ধুর সাথে বন্ধুর কোলাকুলি, গান, আড্ডা, কথা বলাবলি সে যেন এক মিলনমেলার প্রেমের বিহ্ববল বেজে উঠেছিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে।

বাংলাদেশের শিল্প সাহিত্যের শৈল্পিক দিকগুলো মানবজীবনের সর্বক্ষেত্রের অনুভূতি ও বেঁচে থাকার পুঁজি। পরে অনুষ্ঠিত হয় অনুভূতি প্রকাশের পর্ব। অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে কারো কারো কথায় উঠে এল তাদের পুরোনো বন্ধুদের কথা।

১২ জন বন্ধুর মৃত্যু যেন তাদের স্মৃতি ভেলায় ভাসিয়ে গেছে। এর মাঝখান থেকে বক্তব্য দেন স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিপ) এর মহাসচিব ডা: অধ্যাপক এম.এ আজিজ স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে বলেন আজ থেকে ৩৭ বছর পূর্বে আমরা এই কলেজের ছাত্র/ছাত্রী ছিলাম। আজ পুনর্মিলনীতে এসে অনেক স্মৃতি মনে পড়ছে। অনেকের কথা মনে পড়ছে।

সেই দিনের সেই ছাত্র/ছাত্রীরা আজ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে সরকারী বেসরকারী হাসপাতালের ডাক্তার। অনেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছে। আমার চোখের সামনে অনেককে দেখে ভাল লাগছে।

আবার যাদের হারিয়েছি, যারা এখানে নেই তাদের জন্য খারাপ লাগছে। যারা বেঁচে আছে তারা যেন দেশের সেবা করে আরো অনেকদিন বেঁচে থাকে সেই দোয়াই করছি। ডা: সুভাষ চন্দ্র সরকার তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের এই মিলন মেলায় অনেক বন্ধুরাই আমার পাশে নেই। ছাত্রজীবনে মেডিকেলে পড়াশুনার সময় যে স্মৃতিগুলো আছে তা আমরা কখনো ভুলতে পারবো না।

মানুষ চিনদিন বাঁচেনা। আমরাও বাঁচবো না। কিন্তু এই যে, আমাদের ছাত্র জীবনের বন্ধুদের সাথে আজ দেখা হলো, কথা হচ্ছে এটা আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার। তিনি তুলে ধরেন তাদের জীবন থেকে হারিয়ে যাওয়া বন্ধুদের কথা এবং অনেক পুরোনো স্মৃতি।

অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য প্রদান করেন ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মো: আনোয়ার হোসেন, ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা: লক্ষী নারায়ণ মজুমদার, ডা: এ.আর.এম আবুল হোসাইন, ডা: এ.এফ.এম কামরুজ্জামান, ডা: কাজী আশরাফ উদ্দিন, ডা: এনামুর রহমান সহ আরো অনেকেই।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ এম ১৬ ব্যাচের ২ দিন ব্যাপী এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান গানে গানে, আলোচনায়, আড্ডায়, স্মৃতিচারণে ও পরদিন নৌ ভ্রমন ও ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় বলে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ ডা: লক্ষী নারায়ণ মজুমদার জানান।

এম ১৬ ব্যাচের প্রথম অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন ডা: মঞ্জুরুল বারী। অনুষ্ঠানে ঢাকা থেকে আগত ১৬ জন বন্ধু নীল শাড়ী পড়ে নীলে নীলে সাজিয়েছিল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের এম ১৬ ব্যাচের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের প্রথম দিনটা।

এসএ নেওয়াজী ময়মনসিংহ রেঞ্জে শ্রেষ্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে পুরস্কৃত

ময়মনসিংহ রেঞ্জ পুলিশের মাসিক সভা সোমবার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেপ্টেম্বর মাসের সফলতা ও দক্ষতার জন্য ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এসএ নেওয়াজীসহ ৫ পুলিশ কর্মকর্তা ও এক চৌকিদারকে পুরস্কৃত করা হয়েছে।

পুরস্কারপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন, হালুয়াঘাট থানার ওসি মোঃ কামরুল ইসলাম মিয়া, জামালপুর ডিবি পুলিশের এসআই খায়রুল ইসলাম, মুক্তাগাছা থানার এসআই আবুল খায়ের ও হামিদুর রহমান এবং বকশীগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চৌকিদার অর্জুন রবিদাস।

রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝির সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত ডিআইজি ডঃ মোঃ আক্কাস উদ্দিন ভুইয়া, শেরপুরের এসপি রফিকুল হাসান রনি, নেত্রকোণার এসপি জয়দেব চৌধুরী, ময়মনসিংহের এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম,

রেঞ্জ অফিসের এসপি সৈয়দ হারুন অর রশিদ, জামালপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমির হোসেন, রেঞ্জ অফিসের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান ও ডিআইজির স্টাফ অফিসার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম মনিরুল ইসলামসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

সভায় সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন থানায় অপরাধ বিষয়ক কর্মকার্ন্ড মনিটরিং, কমিউনিটি পুলিশের কার্যক্রম তদারকি, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে দক্ষতার সাথে দায়িত্বশীল পদক্ষেপসহ নানা সফলতায় ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) এসএ নেওয়াজীকে রেঞ্জে শ্রেষ্ট অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসাবে পুরস্কৃত করা হয়।

উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের সকল নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে….ড. গওহর রিজভী

বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার নেতৃবৃন্দের সাথে প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী গতকাল ময়মনসিংহ পৌরসভার শহীদ শাহাব উদ্দিন মিলনায়তনে মতবিনিময় করেন।

ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট আলহাজ্ব মো: জহিরুল ইসলাম খোকা‘র সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক জননেতা এডভেকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল এর পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আনোয়ারুল হক খান তুহিন, ময়মনসিংহ পৌরসভার জননন্দিত মেয়র মো: ইকরামুল হক টিটু।

মতবিনিময় সভায় প্রধানমন্ত্রীর আর্ন্তজাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে আওয়ামীলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের এক সাথে কাজ করতে হবে।

দলের কোথাও কোন ধরণের বিভেদ দেখা দিলে তা তাৎক্ষনিক মিটিয়ে ফেলতে হবে। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ময়মনসিংহ জেলা শাখার মতবিনিময় সভায় ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ নেতা এডভোকেট কবির উদ্দিন ভুইয়া, আলহাজ্ব মমতাজ উদ্দিন মন্তা, এডভোকেট সাদেক খান মিল্কি টজু,

এডভোকেট ফরিদ আহমেদ, আলহাজ্ব আ.খ.ম শামসুল আলম তালুকদার, অধ্যক্ষ একেএম আব্দুর রফিক, কাজী আজাদ জাহান শামীম, আহাম্মদ আলী আকন্দ, শওকত জাহান মুকুল, এম এ কুদ্দুছ, অধ্যক্ষ আবু সাঈদ দীন ইসলাম ফখরুল, আ: হাই আকন্দ,

শাহ কুতুব চৌধুরী, ফিরোজ আহম্মেদ, কৃষিবৃদ ড, সামীউল আলম লিটন, মেয়র আলহাজ্ব এবিএম আনিছুজ্জামান আনিছ, ড. মো: সিরাজুল ইসলাম, এডভোকেট ইমদাদুল হক সেলিম, অধ্যক্ষ আতিকুর রহমান, দুলাল উদ্দিন ভুইয়া,

ময়মনসিংহে জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদযাপন উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

গতকাল ২৩ অক্টোবর সকাল নয়টায় জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহ টাউন হল মিলনায়তনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসক ও ময়মনসিংহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের আয়োজনে বর্ণাঢ্য র‌্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আলোচনা সভায় ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মোঃ খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার জিএম সালেহউদ্দিন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ রেঞ্জ ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি, ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান, ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র মোঃ ইকরামুল হক টিটু, ইউনিসেফের ময়মনসিংহ ফিল্ড অফিসের প্রধান মোঃ ওমর ফারুকসহ প্রমূখ।

আলোচনা অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল আওয়াল। আলোচনা সভার পূর্বে জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদযাপন উপলক্ষে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের অফিস প্রাঙ্গন হতে একটি সু-সজ্জিত বর্ণাঢ্য র‌্যালী শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে টাউন হল মিলনায়তনে এসে সমাপ্ত হয়। উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মনসুর আহমেদ খান।

ত্রিশালে বিএডিসির ১২শ’ বস্তা ধানবীজসহ ট্রাক আটক

 ময়মনসিংহের ত্রিশালে বিএডিসি’র ২৮ ও ২৯ জাতের সরকারী ধানবীজ অবৈধভাবে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা বীজসহ একটি ট্রাক আটক করেছে উপজেলা প্রশাসন।

জানাযায়, রোববার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর রিপন ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ শাহাদুল ইসলাম অভিযান চালিয়ে পৌর শহরের পুরাতন ছাগল হাটা থেকে ধানবীজ ভর্তি একটি ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-১৪২৭৩৪) আটক করে।

টের পেয়ে ট্রাকের চালক ও হেলপার পালিয়ে যায়। সোমবার বিকালে ত্রিশাল থানায় আটককৃত ট্রাক থেকে বীজের বস্তা নামিয়ে গণনা করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির যুগ্ম পরিচালক (বীজ) তপন কুমার আইচ, উপ-পরিচালক (বীজ) আইয়ুব উল্লাহ প্রমূখ।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা (দায়িত্বপ্রাপ্ত) মোঃ শাহাদুল ইসলাম জানান, ধানের বীজগুলো ত্রিশালের প্রকৃত কৃষকদের মাঝে সরকার নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করে সরকারের কোষাগারে টাকা জমা দেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবুজাফর রিপন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৌর শহরের পুরাতন ছাগল হাটায় অভিযান চালিয়ে ট্রাকটি আটক করার পর সোমবার বিকালে তা গণনা করে ট্রাকে ২৮ জাতের ধানের ৪৯৮টি বস্তা ও ২৯ জাতের ধানের ৬৯৮টি বস্তাসহ মোট ১১শ ৯৬টি ধানের বস্তা পাওয়া যায়।

কিশোরগঞ্জ ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেছে র‌্যাব-১৪

বর্তমানে আমাদের দেশের যুব সমাজের অধঃপতনের অন্যতম প্রধান কারণ মাদকাসক্তি। দেশের যুবসমাজের একটি বড় অংশ আশংকাজনকভাবে মাদক হিসেবে ব্যবহৃত ইয়াবা এর প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ছে। মাদকের টাকা জোগাড় করার জন্য মাদকাসক্ত যুব সমাজ বিভিন্ন ধরনের অনৈতিক কার্যকলাপ, অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার,


ছিনতাইসহ বিভিন্ন  অবৈধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। “বাংলাদেশ আমার অহংকার” এই স্লোগান নিয়ে র‌্যাব যুব সমাজকে মাদকের ভয়াল থাবা থেকে রক্ষার জন্য প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই দেশব্যাপী বিভিন্ন মাদক ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে আপোষহীন অবস্থানে থেকে নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে যা দেশের সর্বস্তরের জনসাধারন কর্তৃক ইতোমধ্যেই বিশেষভাবে প্রশংসিত হয়েছে।
২। এরই ধারাবাহিকতায় র‌্যাব-১৪, সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, কিশোরগঞ্জ জেলার সদর থানাধীন উত্তর চরকুন্তি চয়না এলাকায় একজন মাদক ব্যবসায়ী মাদক-দ্রব্য বিক্রয়ের জন্য অপেক্ষা করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের একটি চৌকস আভিযানিক দল ২০ নভেম্বর ২০১৭ ইং তারিখে ০০.৩০ ঘটিকায় র‌্যাব-১৪,

সিপিসি-২, কিশোরগঞ্জ ক্যাম্প এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার এএসপি মোহাম্মদ খোরশেদ আলম এর নেতৃত্বে উক্ত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। মোঃ শহিদ মিয়া (৩৪), পিতা- মৃত জহুর আলী, সাং-উত্তর চরকুন্তি চয়না, থানা-কিশোরগঞ্জ,

জেলা- কিশোরগঞ্জকে গ্রেফতার পূর্বক তার দেহ তল্লাশী করে ১০০ পিস মাদকদ্রব্য ইয়াবা এবং একটি মোবাইলসেট উদ্ধার করেন। ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে ১৯৯০ (সংশোধনী ২০০৪) ইং সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৯(১) টেবিল ৯(খ) ধারা মোতাবেক কিশোরগঞ্জ সদর থানায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন।