শুক্রবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৭

ক্রিকেটা খেলোওয়ার এখন ক্ষেত মজুর |

/>
/>
/>
ক্রিকেটের এখন রমরমা অবস্থা। এমন কোনো ক্রিকেটার কি আর এখন খুঁজে পাওয়া যাবে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দু বছরের ক্যারিয়ারেও যে টাকা আয় হবে তা দিয়ে চলবে অন্তত কয়েকটা বছর। আর সেই ক্রিকেটারের জন্ম যদি হয় ভারতে তবে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই ভরত রাজার দেশের এক হতভাগ্য ক্রিকেটারের কথা জানিয়েছে সেই দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া; যে কিনা বিশ্বকাপ খেলার পরও আজ ক্ষেত মজুর!
এই তো সেদিন, ১৯৯৮ সালেও ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তারকা ছিলেন তিনি। এমনকি সেসময়কার রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণানের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এই সেই অল রাউন্ডার যিনি সে বছর ভারতকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে নিয়ে যান, তিনি এখন দিনের বেশি সময় কাটান ক্ষেত-খামারে। নাহ তিনি কৃষি ব্যবসা করছেন না। তার পেশা এখন মহিষ চড়ানো এবং খেতে টুকটাক কাজ করা। আর এই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এভাবেই খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এক তারকা ক্রিকেটার।
ভালাজি দামোর; ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১২৫ টি ম্যাচে ৩১২৫ রান আর ১৫০ টি উইকেট নিজের করে নেন। এখনও পর্যন্ত ইনিই ভারতের সব থেকে বেশি সংখ্যক উইকেট টেকার। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাতাকে থামাতে পারেনি। মোট আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্যে বিশ্বের প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপে যিনি ভারতকে সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, দারিদ্র্য এখন তার ছায়াসঙ্গী।
ক্রিকেটের এখন রমরমা অবস্থা। এমন কোনো ক্রিকেটার কি আর এখন খুঁজে পাওয়া যাবে যার নুন আনতে পান্তা ফুরোয়। দু বছরের ক্যারিয়ারেও যে টাকা আয় হবে তা দিয়ে চলবে অন্তত কয়েকটা বছর। আর সেই ক্রিকেটারের জন্ম যদি হয় ভারতে তবে তো কথাই নেই। কিন্তু সেই ভরত রাজার দেশের এক হতভাগ্য ক্রিকেটারের কথা জানিয়েছে সেই দেশের জনপ্রিয় সংবাদপত্র টাইমস অব ইন্ডিয়া; যে কিনা বিশ্বকাপ খেলার পরও আজ ক্ষেত মজুর!
এই তো সেদিন, ১৯৯৮ সালেও ভারতের ক্রিকেট বিশ্বকাপের তারকা ছিলেন তিনি। এমনকি সেসময়কার রাষ্ট্রপতি কে আর নারায়ণানের কাছ থেকে পুরস্কারও পেয়েছিলেন। এই সেই অল রাউন্ডার যিনি সে বছর ভারতকে ক্রিকেট বিশ্বকাপে সেমি ফাইনালে নিয়ে যান, তিনি এখন দিনের বেশি সময় কাটান ক্ষেত-খামারে। নাহ তিনি কৃষি ব্যবসা করছেন না। তার পেশা এখন মহিষ চড়ানো এবং খেতে টুকটাক কাজ করা। আর এই তার আয়ের একমাত্র উৎস। এভাবেই খেয়ে না খেয়ে জীবন কাটাচ্ছেন এক তারকা ক্রিকেটার।
ভালাজি দামোর; ৩৮ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার ১২৫ টি ম্যাচে ৩১২৫ রান আর ১৫০ টি উইকেট নিজের করে নেন। এখনও পর্যন্ত ইনিই ভারতের সব থেকে বেশি সংখ্যক উইকেট টেকার। তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতাতাকে থামাতে পারেনি। মোট আটটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন তিনি। দৃষ্টিহীনদের জন্যে বিশ্বের প্রথম ওয়ার্ল্ড কাপে যিনি ভারতকে সেমি ফাইনাল পর্যন্ত নিয়ে গিয়েছিলেন, দারিদ্র্য এখন তার ছায়াসঙ্গী।

যে ১০ বড় তারকা এবার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না

/>
বিশ্বকাপ নিশ্চিত করেছে অনেক মহাতরকাই।  বিপদের মুহুর্ত থেকে বেঁচে গেছে সময়ের সেরা মেসি এব রোনালদো। তবে মন কাঁদলেও এবার বিশ্বকাপ খেলতে পারবেন না ১০ বড় তারকা।
বিশ্বকাপে জায়গা করে নিয়েছে নেইমার, সুয়ারেজ, এমবাপ্পে, ইসকোদের দল।  তবে সব তারকা কিন্তু এবার বিশ্বকাপে খেলবে না।  কিছু তারকাকে বিশ্বকাপ দেখতে হবে টিভির পর্দায় ।  দেখুন সেই তারকা কারা:
১. আবামেয়াং/>২. গ্যারেথ বেল />৩. এডিন জোকো/>৪. মার্কোস হামসিক />৫.জান ওবলাক />৬. রিয়াদ মাহরেজ/>৭.ক্রিশ্চিয়ান পালিসিক />৮. অ্যারিয়েন রোবেন/>৯. আলেক্সিজ সানচেজ />১০. অর্তো ভিদাল

ক্ষমতা থাকলে সব পুরস্কার মেসিকেই দিতাম

লিওনেল মেসির সঙ্গে কোনো ফুটবলারই প্রতিযোগিতা করে পারবে না। ইউরোপীয় ফুটবলে শততম গোল করার পর বার্সা সভাপতি জোসেপ মারিয়া বার্তমেউ এ কথা বলেন।
এর আগে অনেকবারই মেসির প্রশাংসা করেছিলেন বার্সা সভাপতি। ফুটবল বিশ্বের এ তারকাকে নিয়ে যে নতুন কিছু বলার থাকে না সেটি শিকার করেই কখনো মাঠে বসে কিংবা টিভির পর্দায় এ তারকার খেলা উপভোগ করেন।
এমন মাইলফলকের দিনে আর চুপ করে থাকেননি বার্তামেউ। পাঁচ বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের খেলায় অভিভূত বার্তমেউ বলেন, আমি যদি প্রতিযোগিতা মূলক কাজের জন্য পুরস্কার দিতে পারতাম তাহলে সবগুলো মেসিকেই দিতাম। কেউ তার সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পেরে উঠবে না। সে একটা যুগ তৈরি করেছে। এবং সেই যুগে সেই রাজা।
বার্সা টিভিকে তিনি বলেন, মেসির বয়স এখন ৩০ হলেও তার খেলার ধার কমার কোনো লক্ষণ নেই।

বাংলাদেশী তারকার পড়াশুনা কতদূর জানেন?

টিভি-চলচ্চিত্রের নায়ক-নায়িকা হলে কী হবে! অনেকে কিন্তু শিক্ষাজীবনেও নায়ক। তবে ঢাকাই চলচ্চিত্রে উচ্চশিক্ষিত তারকাদের সংখ্যা হাতেগোনা। স্বল্পদিনের ব্যবধানে খ্যাতির চূড়ায় ওঠায় নিয়মিত পড়াশোনা থমকে রয়েছে অনেকের। তাই অনেকেই নিজেদের শিক্ষা নিয়ে পারতপক্ষে মুখ খোলেন না। তারকাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে রয়েছে নানা মুখোরচক মিথও। দেশের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র ও টিভি তারকাদের ‘কার বিদ্যা কতদূর’? অগ্রজরা এগিয়ে মঞ্চ ও নাটক মাধ্যমের শিল্পীদের বেশিরভাগই উচ্চশিক্ষিত। একই সঙ্গে সিনেমার সিনিয়র তারকাদের অনেকেই উচ্চশিক্ষায় সার্টিফিকেটধারী। ঢাকার ছবির শুরুটাও অনেক বর্ণাঢ্য।জানা গেছে, চিত্রনায়ক আলমগীর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পড়েছেন। পরবর্তীতে পাকিস্তানের করাচিতে তিনি পড়াশোনা করেছেন। ইলিয়াস কাঞ্চন স্নাতকসম্পন্ন। অভিনেতা ও পরিচালক সোহেল রানা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। ছাত্র রাজনীতিতেও সক্রিয় ছিলেন তিনি। প্রয়াত খ্যাতিমান অভিনেতা হুমায়ুন ফরীদি ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপি করিম বুয়েট থেকে স্থাপত্যবিদ্যায় স্নাতকোত্তর শেষ করেছেন। জাকিয়া বারী মম নাট্যকলায় স্নাতক শেষ করে উচ্চতর পড়াশোনা করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। সুমাইয়া শিমু পিএইচডি করছেন। চিত্রনায়ক-প্রযোজক অনন্ত জলিলের দাবি- যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করেছেন তিনি। খ্যাতিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগর ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। একই প্রতিষ্ঠানের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় পড়েছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস। সিনিয়র অভিনেত্রী ওয়াহিদা মল্লিক জলি এই প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করেছেন বলে দাবি করেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। ইডেন মহিলা কলেজ থেকে বাংলায় অনার্স-মাস্টার্স করেছেন অভিনেত্রী রুনা খান। ফিল্ম স্টাডিজের ওপর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করেছেন স্বাগতা। চিত্রনায়ক রিয়াজের কলেজ জীবন শুরু হয় যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজে এইচএসসিতে ভর্তির মাধ্যমে। সেখান থেকে এইচএসসি পাস করে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীতে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে বাংলাদেশ এয়ার ফোর্স একাডেমিতে ১৯৯১ সালের জুন পর্যন্ত অধ্যয়ন ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি সম্পূর্ণ করেন। চিত্রনায়িকা ববি হক আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। নায়িকা রত্না জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অনার্স করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স করেছেন। এছাড়াও রত্না সাফল্যের সঙ্গে এলএলবি পাস করেছেন সম্প্রতি। তিনি ঢাকা ক্যাপিটাল ল’কলেজ থেকে ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের ছাত্রী হিসেবে এলএলবি পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এই কলেজের পাসকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রত্না মেধা তালিকায় তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন। অভিনেত্রী জ্যোতিকা জ্যোতি ময়মনসিংহ আনন্দমোহন কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্স করেছেন। চিত্রনায়িকা আলিশা প্রধান ইংলিশ মিডিয়াম প্রতিষ্ঠান থেকে এ লেভেল সম্পন্ন করে অর্থনীতি পড়ছেন ইডিক্সেল-এ। আর নায়িকা আঁচল স্ট্যামফোর্ড থেকে বিবিএ সম্পন্ন করেছেন। অর্চিতা স্পর্শিয়া ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিবিএ শেষ করেছেন। মডেল-অভিনেত্রী পিয়া লন্ডনকেন্দ্রিক একটি কলেজে আইন বিষয় নিয়ে পড়াশোনা করছেন এখনও। যারা ক্লাসে নিয়মিত নন হালের তরুণ প্রজন্মের তারকাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, অনেকে শিক্ষাজীবন ধারাবাহিক রাখলেও নিয়মিত ক্লাস করতে পারছেন না। চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। একই অবস্থা চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়ারও। তিনি এআইইউবিতে বিবিএ’তে অষ্টম সেমিস্টারের ছাত্রী। সিদ্ধেশ্বরী গার্লস কলেজে পড়াশোনা করেছেন পিয়া বিপাশা। এখন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক করছেন। নতুনদের মধ্যে সাবিলা নূর নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী। অভিনয়শিল্পী জোভানও একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক করছেন। মডেল বিথী রানী সরকার ফ্যাশন ডিজাইনিংয়ে (শান্তা মারিয়াম-উত্তরা ক্যাম্পাস), মৌসুমী হামিদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে খুলনার একটি কলেজে অনার্সে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন। তবে তিনি কাজের ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত ক্লাসে যেতে পারেন না। জানা যায়, বিদ্যা সিনহা মিম জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলেও বেশি দিন ক্লাস করতে পারেননি। নতুন করে ভর্তি হয়েছেন একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানকার পড়াশোনাও শেষ করতে পারেননি এ লাক্স সুন্দরী। নিয়মিত ক্লাস না করেও শিক্ষা জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন চিত্রনায়ক বাপ্পী চৌধুরী। তিনি জানান, ক্লাসে না গেলেও নিয়মিত পরীক্ষাগুলোয় অংশ নেন। পাশাপাশি শিডিউল না থাকলে ক্লাস করেন তিনি। তমা মির্জা আইনে পড়ছেন মানারাত ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইতোমধ্যে পরীক্ষা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি। বড় তারকাদের শিক্ষাজীবন, অন্ধকারে তথ্য চলচ্চিত্র অঙ্গনের অনেকে বলছেন, বড় নায়ক নায়িকারা তাদের শিক্ষাজীবন নিয়ে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন না। ব্যস্ততা ও খ্যাতির খাতিরেই পড়াশোনা থেকে ক্রমশ দূরে সরে যান তারা চিত্রনায়িকা মৌসুমীর শিক্ষাজীবন নিয়ে কোনও তথ্য জানা যায়নি। বাংলাদেশের শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় জনমত ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সম্প্রতি তিনি ও বাংলাদেশের খ্যাতনামা জাদুকর জুয়েল আইচ ইউনিসেফ অ্যাডভোকেটের দায়িত্ব পালন করেছেন। জানা যায়নি এক সময়ের স্বনামখ্যাত চলচ্চিত্রাভিনেত্রী শাবনুরের শিক্ষা জীবনের কোনও খবরও। তবে তিনি অস্ট্রেলিয়ায় চলচ্চিত্র বিষয়ক পড়াশোনা করেছেন বলে খবর মিলেছে। এই সময়ে বাংলা সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা চিত্রনায়ক শাকিব খান। অনেক কাছের মানুষও জানেন না তার শিক্ষা জীবন সম্পর্কে। তার এক ছবির প্রযোজক বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ‘শাকিব খান কাছের মানুষদের বলতে শুনেছেন, তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন এবং প্রায়শই তাকে বলতে শোনা যায়, তিনি প্রকৌশলী হতে চেয়েছিলেন। কয়েকটি সাক্ষাৎকারে অবশ্য তিনি নিজেকে স্নাতক পাসও দাবি করেছিলেন। ইদানীং বিষয়টি তিনি সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। তবে একাধিক ঘনিষ্ট ব্যক্তির মতে শাকিব খান এইচএসসি পাস করেছেন। নায়িকা অপু বিশ্বাস পড়েছেন এসওএস হারম্যান মেইনার স্কুলে। এরপর আলোর মেলা, ক্রিসেন্ট হাই স্কুল এবং সব শেষে ইয়াকুবিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছিলেন। তবে এরপর তার শিক্ষা জীবনের পরিস্থিতি কী, তা নিয়ে রয়েছে রহস্য। অপু বিশ্বাস নিজে কখনও কাউকে এ বিষয়ে বলেননি। এছাড়া নায়িকা সিমলা শৈলকূপা গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে তিনি শৈলকূপা সরকারী কলেজে উচ্চমাধ্যমিকে ভর্তি হন। কিন্তু দ্বিতীয় বর্ষে পড়ার সময়ই চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন বলে পড়াশোনার অকাল মৃত্যু ঘটে

আইটেম গানের কে কত পারিশ্রমিক নেন

/>
এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য মালাইকা নাকি এক কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। সে দাবাং-এর ‘মুন্নি বদনাম’ হোক কিংবা ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’ হোক< />কখনও ‘চিকনি চামেলি’ আবার কখনও ‘টিঙ্কু জিয়া’, বলিউডের মশলাদার গান কিংবা আইটেম নম্বরের চাহিদা কিন্তু দর্শকদের বেশ তুঙ্গে।
মালাইকা অরোরা খান কিংবা গওহর খান-দের সঙ্গে এখন সিনেমার আইটেম নম্বরে দেখা যাচ্ছে কারিনা কাপুর খান, ক্যাটরিনা কাইফদের মতো প্রথম সারির অভিনেত্রীদের।
কিন্তু, জানেন কি, এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য বলিউড অভিনেত্রীরা কত করে পারিশ্রমিক নেন?এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য মালাইকা নাকি এক কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। সে দাবাং-এর ‘মুন্নি বদনাম’ হোক কিংবা ‘আনারকলি ডিস্কো চলি’ হোক।
অভিনয়ের পাশাপাশি আইটেম নম্বরের জন্য সোনাক্ষী সিনহার দাবি ৬ কোটি করে।
‘বেবি ডল’-খ্যাত সানি লিওন তাঁর আইটেম নম্বরের জন্য ৩ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন।
‘রামলীলা’-য় ‘গালিও কি রাসলীলা’-র জন্য প্রিয়াঙ্কা নাকি ৬ কোটি করে নিয়েছিলেন।
কারিনা কাপুর খান আইটেম নম্বরের জন্য নেন ৫ কোটি করে। তাঁর ‘ফেভিকল’ এবং ‘মেরা নাম মেরি’ কিন্তু অন্যতম জনপ্রিয় আইটেম নম্বর বলিউডের।
‘শিলা কি জওয়ানি’ এবং ‘চিকনি চামেলি’খ্যাত ক্যাটরিনা কাইফ এক একটি আইটেম নম্বরের জন্য ৩.৫ কোটি করে পারিশ্রমিক দাবি করেন। জিনিউজ

ডিম এবং দুধ সহবাসের আগে ?

আর কেউ নয় ’আমিই শাকিব খানের প্রিয়তমা’ বললেন বুবলী

/>
শবনম বুবলী। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্যতম আলোচিত অভিনেত্রী। ইতিমধ্যে চারটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। চারটিই দেশসেরা নায়ক শাকিব খানের বিপরীতে। আরো কয়েকটি ছবিতে জুটি বাঁধছেন তারা।
শাকিব খানের ‘প্রিয়তমা’ ছবিতে আপনি অভিনয় করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে বুবলি বলেন, হ্যাঁ, কথাটা সত্য। আসলে এই ছবির প্রস্তাব পেয়েছিলাম ছয় মাস আগে। হিমেল আশরাফ তখন ছবির কাহিনী শুনিয়ে ছিলেন।

স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে? বেরিয়ে এলো চাঞ্চল্লকর তথ্য

মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই। কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও। একটু গোড়া থেকে শুরু করি,
১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল।
তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন।
মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না। তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো।
একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে।
স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর।
মুল বিষয়ে যাবার আগে চলুন কিছু জেনে নিই। কোথায় যেন একটা প্রবাদ পড়েছিলাম, মানুষ জীবনে তার লক্ষ্য কিংবা কতটুকু সফল হতে পারবে, সেটা ৩৩-৩৫ বছর বয়সের মধ্যেই বুঝতে পারে। ব্যাপারটা এমনই, আপনি এই বয়সে এসে অদূর ভবিষ্যত নিয়ে হালকা পাতলা চিন্তা করতে পারবেন,জীবনের শেষ গন্তব্যে কি করবেন, সেটা চিন্তা করতে পারবেন। ফ্ল্যাট বাড়ীর জন্য কিস্তি জমা দেওয়া শুরু করতে পারবেন। গাড়ি কিনার চেষ্টা করতে পারেন, নেহায়েৎ ব্যাংক লোন নিয়ে হলেও।
একটু গোড়া থেকে শুরু করি,
১৮ বছর বয়স শেষে একজন যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করে, তার ২২-২৩ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ হয়ে যাওয়ার কথা। গড়ে বাংলাদেশী ছেলেদের চাকুরী পেতে পেতে ২৪-২৫ বছর হয়ে যায়। তারপরও অনেক সময় পছন্দমতো চাকুরী পায় না, এই অফিস, ঐ অফিস ঘুরা ঘুরি করে। ধরলাম আলটিমেট চাকুরীটা পেতে তার ২৭ -২৮ বছর হয়ে গেল।
তারপর বলে একটু গুছিয়ে নিই, তারপরেই বছর ২-১ পরে বিয়ে করবো। গুছিয়ে নিতে গিয়ে দেখা গেল, সংসার চালানো অনেক কঠিন। তখন বলে একটা প্রমোশন পেলেই বিয়ে করবো। প্রমোশন পেতে পেতে ৩২ বছর হয়ে যায় অনেকের। তারপর ভদ্রলোক এইবার বিয়ের ঘোষণা দেন।
মিয়া এখন বিয়াতে রাজী, আত্মীয় স্বজন, পাড়াপ্রতিবেশী সকলে ঝাপিয়ে পড়ে বিবি খুঁজতে। এই মেয়ে দেখে, ঐ মেয়ে দেখে, পছন্দসই মেয়ে খুঁজে পেতে ৩৩ পার হয়ে যায়। তারপর বিয়ের পিড়িতে বসেন মিয়া ভাই।আমি এমনও দেখেছি, ৩৫-৩৮ বছর পরেও অনেক পুরুষ নিজেকে বিয়ের জন্য যোগ্য মনে করেন না। তারা মনে করেন, আর একটু প্রতিষ্ঠিত হয়ে নিই আগে, তাহলে বিয়ের বাজারে নিজের দামটা আরো একটু বাড়বে, আরো একটু সুন্দরী, গুনবতী, কচি মেয়ে পাবো।
একটা চরম সত্য কথা বলি, অনেক পুরুষ মানুষ আমার উপর ক্ষেপেও যেতে পারেন। সত্যটা হলো, যাদের বয়স ৩৫-৩৮ এর কোটায়, তারা বউ হিসেবে ২১ -২৪ (সর্বোচ্চ) বছরের মেয়েদেরই বেশি পছন্দ করে। মানে অনার্স পাশ করা মেয়ে, মাস্টার্স পাশ করা মেয়ে অনেকের পছন্দ নয়। অনেকে আবার অনার্স পড়ুয়া মেয়ে পছন্দই করেন না, তাদের পছন্দ ঐ ১২ ক্লাশ পাস, মানে ইন্টারমিডিয়েট পর্যন্ত।কারণ ঐ ১৮ বছরের মেয়েদের ইচ্ছে মতন শেইফ দেওয়া যায়। যেমনি বলবেন, তেমনি চলবে।
স্বামী স্ত্রীতে ১২-১৪ বছর বয়সের পার্থক্য অনেক সময় অনেক জটিলতা সৃষ্টি করে। দুই জনের মানসিক চাহিদাটা মিল না হলেই এই সমস্যাগুলো প্রকট হয়ে যায়। নিজের থেকে ১২ বছরের কারো সাথে এডজাস্ট করাটা অনেক সময় সত্যিই কষ্টকর।

ভবিষ্যতে ঢাকার রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি।

/>
ভবিষ্যতে ঢাকার রাস্তায় চলবে চালকবিহীন গাড়ি। এতে যানজটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। এ ছাড়া প্রযুক্তির নানা উন্নয়ন ঘটবে দেশে। আজ বৃহস্পতিবার ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডের দ্বিতীয় দিন সকালে আয়োজিত মিনিস্ট্রিয়াল কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আশার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। গতকাল বুধবার থেকে চার দিনব্যাপী তথ্যপ্রযুক্তির মেলা ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড চলছে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। দেশের তথ্যপ্রযুক্তির বড় আসর এটি।সম্মেলনে আজ মূল বক্তব্য উপস্থাপনায় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, আধুনিক প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে। বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত ভবিষ্যতের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এ জন্য চতুর্থ শিল্পবিপ্লব নিয়ে এখন কথা বলার সময় এসেছে। কারণ, দ্রুত বদলে যাওয়া প্রযুক্তি মানুষের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন আনছে। সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, ‘সরকার বেসরকারি খাতকে সঙ্গে নিয়ে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে কাজ করেছে। জনগণ তথ্যপ্রযুক্তির সুফলও ভোগ করছে। ফলে বাংলাদেশে প্রযুক্তির ব্যবহার বেড়েছে বহুগুণ। এই ডিজিটাল ওয়ার্ল্ডেই আপনারা দেখেছেন ড্রোন, বিশ্বের উন্নত রোবট সোফিয়াকে। ভবিষ্যতে মোবাইল সুপারকম্পিউটিং, চালকহীন গাড়ি, কৃত্রিম বুদ্ধিমান রোবট, নিউরো প্রযুক্তির ব্রেন, জেনেটিক এডিটিং দেখতে পাবে। প্রযুক্তির এসব সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে দেশের মানুষের জন্য আমাদের উন্নয়নের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে হবে।’সজীব ওয়াজেদ জয় বলেন, বর্তমানে ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ থেকে দেওয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে প্রাথমিক স্তরেও তথ্যপ্রযুক্তি শিক্ষা দেওয়া হবে। ষষ্ঠ শ্রেণির চেয়ে প্রাথমিকে আইটি শিক্ষা শুরু করা কঠিন হবে না। ২০০৮ সাল থেকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা শুরু হওয়ার পর বর্তমানে দেশের ৪০ শতাংশ সরকারি সেবা ডিজিটাইজড হয়েছে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, আগামী দিনে বেশির ভাগ সেবা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে হবে। ভবিষ্যতে ৮০ শতাংশ সরকারি সেবা স্মার্টফোনের মাধ্যমে হাতের মুঠোয় নিয়ে আসা হবে। এ সময় তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘গত নয় বছরে বাংলাদেশ দ্রুত পরিবর্তন ঘটেছে। আমরা দ্রুত এগিয়েছি। ভবিষ্যতের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি করছি। তরুণদের উদ্যোক্তা হতে পথ দেখাচ্ছি। পাঁচ কোটি মার্কিন ডলার আয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি।’ বোস্টন কনসাল্টিং গ্রুপের কর্মকর্তা জারিফ মুনিরের সঞ্চালনায় এ সম্মেলনে কঙ্গোর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা ডায়োডোনি কালোম্বো কোলি বাডিবাং, কম্বোডিয়ার ডাক ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী কান চানমেটা বক্তব্য দেন। এ ছাড়া সম্মেলনে ভুটানের তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রী দিনা নাথ ডঙ্গায়েল, মালদ্বীপের সশস্ত্র ও জাতীয় নিরাপত্তা উপমন্ত্রী থরিক আলী লুথুফি উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার, ৭ ডিসেম্বর, ২০১৭

বিয়ে করেছেন ইমি


আক্‌দের অনুষ্ঠানে বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমির সঙ্গে ইমিজনপ্রিয় মডেল ইমি বিয়ে করেছেন। বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমি। গতকাল শুক্রবার রাতে রাজধানীর বেইলি রোডের এক রেস্তোরাঁয় তাঁদের আক্‌দ অনুষ্ঠিত হয়। এখানে দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজন আর বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন। ইমি আজ শনিবার দুপুরে নিজেই প্রথম আলোকে ফোন করে বিয়ের এই খবর জানিয়েছেন।
ইমি বলেন, ‘আমরা দুজনই র‍্যাম্প মডেলিংয়ের সঙ্গে জড়িত। গত বছর আজমির সঙ্গে আমার পরিচয়। এরপর আমাদের দুজনের অনেক কিছুই মিলে যায়। এই যেমন চিন্তা, ভাবনা, পরিকল্পনা, জীবনবোধ। একসময় আমরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই। এই বিয়েতে আমার মা–বাবা খুব খুশি হয়েছেন। তাঁরা আমাদের দোয়া করেছেন। বিয়েতে আমার শাশুড়ি আর আজমির আত্মীয়স্বজনের অনেকেই চট্টগ্রাম থেকে এসেছেন। সব মিলিয়ে আমার খুব খুশি লাগছে।’
ইমি আরও বলেন, ‘অল্প সময়ের সিদ্ধান্তে এই আক্‌দের অনুষ্ঠান আয়োজন করেছি। আর সবকিছু আমি একাই গুছিয়েছি। তাই আগে অনেককেই জানাতে পারিনি।’
বিয়ের পর বর রিফাত আবদুল্লাহ আজমির সঙ্গে ইমিইমি জানান, তাঁর বর আজমি এখনো র‍্যাম্প মডেলিং করছেন। পাশাপাশি চীনের একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। তাঁর শ্বশুর এখন সৌদি আরবে আছেন। বিয়ের সময় তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে। শিগগিরই তিনি দেশে আসবেন। এরপর বিবাহোত্তর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাড্ডা লিংক রোডে ইমির বাসায় হলুদসন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। এখানে তাঁর আত্মীয়স্বজন আর বন্ধুরা উপস্থিত ছিলেন।

হালদা অ্যান্ড কোং


‘মেঘ, বৃষ্টি, আকাশ, পাতাল—কে কে আছ, একটু পানি দাও।’
হালদার একটা বড় ব্যাপার হলো, ছবিটির মধ্যে যিনি ঢুকে যাবেন, পাক্কা আড়াই ঘণ্টা তিনি অন্য পৃথিবীতে থাকবেন।’
টুকরা টুকরা কথা চলছে—অনেকটা ড্রেস রিহার্সেলের মতো।
 তৌকীর আহমেদের সহকারীর নাম মেঘ, তাঁর কাছে পানি চাইলেন তিশা। এই অভিনেত্রী যখন ঢক ঢক করে পানি গিলছেন, তখনই ছবির পরিবেশক জাহিদ হাসানের মুখে শোনা গেল ছবিটি নিয়ে মোক্ষম এক বাক্য, ‘পাক্কা আড়াই ঘণ্টা অন্য পৃথিবীতে থাকবেন।’
আগামীকাল ১ ডিসেম্বর থেকে সেই ‘অন্য পৃথিবী’ দর্শকের জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে। ‘যার বুকে ঢেউ থাকে তার বুকে ঘর, জোয়ারভাটার খেলা করে না তো পর’—এত দিন তৌকীর আহমেদ পরিচালিত হালদা ছবির এই গান দেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। কাল থেকে সারা দেশের প্রায় ১০০ প্রক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন পুরো ছবিটি। এর মধ্যে ছবির ট্রেইলার এবং যে দুটি গান মুক্তি পেয়েছে, তা মন ভুলিয়েছে অনেকের। এখন হালদার অন্য পৃথিবীর খোঁজ জানতে চান সবাই।
অন্য পৃথিবীর নমুনা
সেই ‘পৃথিবী’র খবর জানাতেই ‘ড্রেস রিহার্সেল’ পেরিয়ে তাই ‘আসল’ আড্ডার শুরু। ছবির পরিচালক তৌকীর আহমেদকে ঘিরে তাঁর মহাখালীর অফিসে আড্ডা অবশ্য আগে থেকেই চলছিল—‘হালদা অ্যান্ড কোং’ মানে হালদার পাত্রপাত্রী তিশা, শাহেদ আলী, রুনা খান আর পরিবেশক জাহিদ হাসানের আড্ডা। কিন্তু আমাদের আনুষ্ঠানিক আলাপ শুরুর আগেই কাট মারলেন জাহিদ।
আরেক জাহিদ—অভিনেতা জাহিদ হাসান, মোশাররফ করিম আর ফজলুর রহমান বাবু—ছবির এই অভিনয়শিল্পীদের আড্ডায় পেলে ষোলকলা পূর্ণ হতো নিশ্চয়, কিন্তু তাঁরা না থেকেও কম ছিলেন না। তাঁদের পক্ষে দুর্দান্ত প্রক্সি দিলেন পরিচালক। তৌকীরের প্রক্সির একটি নমুনা জেনে রাখুন:
‘ছবিটি চট্টগ্রামের হালদা নদীপারের মানুষকে নিয়ে, স্বাভাবিকভাবে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা কথা বলেছেন চট্টগ্রামের আঞ্চিলক ভাষায়। তবে সারা দেশের মানুষ যাতে ভাষা বুঝতে পারেন, সে জন্য ভাষাটি খানিকটা সহজ করে উপস্থাপন করা হয়েছে। তো, ভাষার কারণে শুটিংয়ের প্রথম দিকে একটু ভড়কে গিয়েছিলেন জাহিদ হাসান। একদিন আমাকে বললেন, তৌকীর ভাই, ছবিতে আমার চরিত্রটি যেহেতু একটু অবস্থাপন্ন, আমি প্রমিত উচ্চারণে কথা তো বলতেই পারি, তাই না? তাঁকে বললাম, না। তবে শেষ অব্দি তিনিসহ আমার সব পাত্রপাত্রী অসাধারণ করেছেন।
 ‘এই ভাষা নিয়ে কিন্তু কম কাণ্ড হয়নি। আমাদের ভাষাশিক্ষক ছিলেন ছবির সহকারী পরিচালক শিবলি। চট্টগ্রামের ভাষা শেখার জন্য আমাদের কাছে তাঁর ছিল দারুণ চাহিদা। আরও মজার বিষয় হলো, জাহিদ ভাই চট্টগ্রামের ভাষা বলতেন সিরাজগঞ্জের টানে, মোশাররফ ভাই বরিশালের টানে, রুনা আপা টাঙ্গাইলের টানে এবং আমি বলতাম নোয়াখালীর টানে। সে ছিল এলাহি কারবার।’
তিশার কথা শুনেই সবার কণ্ঠে হা-হা-হো-হো-হি-হি-হি। হাসির তুফানমেইল ছুটল।
নদী ও নারীর গল্প
হাসাহাসির আগে আনুষ্ঠানিক আড্ডার শুরুতে আমাদের প্রথম প্রশ্ন ছিল একটু সিরিয়াস ধরনের—এত দিন পরে হালদা কেন? এর পেছনে কি কোনো দায়বোধ কাজ করেছে?
 ‘নদীমাতৃক বাংলাদেশে নদীগুলো এখন মেরে ফেলছি আমরা। হালদা চট্টগ্রামের এমন এক নদী, যেখানে মাছের প্রজনন হয়, এই নদীও আজ বিপন্ন। নদী যেমন বিপন্ন, নারীও তেমনি বিপন্ন। বাংলাদেশের ভূপ্রকৃতি আমাকে বরাবরই আকর্ষণ করে। ছবিতে বাংলাদেশকে দেখাতে চেয়েছি আমি। হ্যাঁ, শিল্পী হিসেবে একটা দায় তো কাজ করেছেই। নদী ও নারী—দুই অনুসঙ্গ ঘিরে এগিয়েছে সিনেমার গল্প।’
কথাগুলো তৌকীরের। সেই কথায় সায় জানিয়ে মাথা নাড়ছিলেন অন্যরাও। কিন্তু ‘ছবির কাহিনি কি একটু বলা যাবে?’, ছোড়ামাত্রই প্রশ্নটি কথার গুগলিতে উডিয়ে দিলেন তিশা, ‘না না, ছবির কাহিনি ফাঁস করা যাবে না।’
তৌকীর হয়তো বলতেন, কিন্তু তিশার অনড় অবস্থানের কারণে মুখে কুলুপ আঁটলেন। শুধু বললেন, ‘আমাদের ছবিতে একটি গল্প আছে—মানবিক সম্পর্কের গল্প। আছে নারীর বিভিন্ন রূপ।’
তিশার চরিত্রের নাম হাসু। ‘হাসু চরিত্রটি আমার কাছে হালদা নদীর প্রতিচ্ছবি। নদীর যেমন বাঁক আছে, রয়েছে উত্থান-পতন, আমার চরিত্রটিও তাই। জেলে সম্প্রদায়ের মেয়ে। প্রতিবাদী।’
এখানে হাসু চরিত্রবিষয়ক একটি গোপন কথা ফাঁস করলেন পরিচালক, ‘হাসু চরিত্রে তিশাকে নেওয়ার কথা বিপাশাই (বিপাশা হায়াত) প্রথম বলেছিল আমাকে। বলেছিল, তিশা হাসু চরিত্রের সঙ্গে যাবে।’
‘আই অ্যাম গ্রেটফুল টু বিপাশা আপা!’ তিশার গলায় বিস্ময়, কৃতজ্ঞতা ও আনন্দের যৌথ নাচন।
লুকোচুরি লুকোচুরি...
ছবির শুটিংয়ের সময় ভিড় করে থাকা দর্শনার্থীদের সঙ্গে লুকোচুরিও করতে হয়েছে হালদা অ্যান্ড কোংয়ের।
 তৌকীকের কথা, ‘শুটিং করতে গেলেই শত শত মানুষ ভিড়ে যেত। একবার তো লাঠিচার্জ করে ভিড় সরাল পুলিশ। শেষে নির্বিঘ্নে শুটিং করার জন্য দর্শনার্থীদের সঙ্গে একটু লুকোচুরি করলাম। শুটিং রাখলাম ভোর সাড়ে ৫টা থেকে। ৫টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা কোনো বাধা ছাড়াই শুটিং করতাম। দর্শনার্থীরা সাধারণত আসত ১২টার পর থেকে।’
সেই সব চরিত্রেরা
হালদায়মোশাররফ করিম বদিউজ্জামান, জাহিদ হাসান নাদের চৌধুরী, ফজলুর রহমান বাবু, মনু মিয়া, রুনা খান জুঁই আর শাহেদ আলী অভিনয় করেছেন নিবারণ চরিত্রে।
 ‘নিবারণ চরিত্রটি ট্রপিক্যাল বাঙালি। চরিত্রটিতে অভিনয় করতে গিয়ে খুব আনন্দ পেয়েছি।’ শাহেদের কথার পর তৌকীর জানিয়ে দিলেন আরেক গোপন কথা, ‘আদতে এটা শাহেদের পুরস্কার। আমার আগের সিনেমা অজ্ঞাতনামায় ও এত নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেছিল যে ওকে কাস্ট করেছিলাম চরিত্রটি রচনারও আগে।’
এক বাক্যে নিজের চরিত্র সম্পর্কে মেলে ধরলেন রুনা খান, ‘আমি বলব না জুঁই এ ছবির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র, তবে জুঁই ছাড়া গল্পটি সম্পন্নও হয় না।’ সঙ্গে এটিও জানাতে ভুললেন না, ‘এ ছবির শুটিংয়ের সময় তৌকীর ভাই ঝিকে মেরে বউকে শেখানোর মতো নানা কিছু করেছেন।’
কেমন?
রুনার কথা কেড়ে নিলেন তিশা, ‘শুটিংয়ের প্রথম দিকে তৌকীর ভাই একবার জাহিদ ভাইকে কল দিলেন ভোর পাঁচটায়, সাড়ে পাঁচটায় শুটিং হবে। আমি ভাবলাম, এত ভোরে জাহিদ ভাই কি উঠবেন? ওমা, পরদিন চারটা কি সাড়ে চারটায় ঘুম থেকে উঠেই দেখি জাহিদ ভাই বসে আছেন।’
‘আসলে জাহিদ ভাইয়ের মতো জ্যেষ্ঠ অভিনেতা যদি এত ভোরে উঠতে পারেন, তবে আমরা কোন ছার—এই ছিল পরিচালকের কৌশল। কৌশলটি কাজে লেগেছে।’ যোগ করলেন রুনা।
এবং অবশিষ্ট
মাত্র ২২ দিনে শুটিং শেষ। বাজেট ছিল অপেক্ষাকৃত কম। তবু হালদা নিয়ে আশাবাদী পরিচালক ও অভিনয়শিল্পীরা। কেন?
 ‘হালদায় একটি নিটোল গল্প আছে। গান আছে। বিনোদনমূলক সিনেমায় যা যা থাকা দরকার সবই আছে।’
আর হালদার গানেই তো আছে, ‘আহা জীবন, কত ভালোবাসাবাসি’—ভীষণ ভালোবাসা দিয়ে এই সিনেমার শিল্পী-কুশলীরা ছবির ক্যানভাসে কেমনভাবে ‘নোনাজলে হাসাহাসি’ করেছেন?
চলুন এবার সেটুকু দেখি হলের পর্দায়।

দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজালেই নাটক হয় না

/>
অপরাহ্ণের আলো টেলিছবির দৃশ্যগত ১ ডিসেম্বর শুক্রবার সকাল ৮টা ১০ মিনিটে নাহিদা আফরোজের উপস্থাপনায় এনটিভিতে প্রচারিত হলো সরাসরি গানের অনুষ্ঠান ‘ছুটির দিনের গান’। শিল্পী ছিলেন রুমানা ইসলাম। বিজয়ের মাসের প্রথম দিনের প্রত্যুষে সরাসরি গানের অনুষ্ঠানে এসে শিল্পী শ্রোতাদের নিরাশ করেননি। বেশ কয়েকটি দেশাত্মবোধক গান করেছেন তিনি নিজের তাগিদেই। অনুষ্ঠান শেষও করেছেন ‘হায় রে আমার মন মাতানো দেশ’—বিখ্যাত দেশাত্মবোধক গানটি দিয়ে। গান নির্বাচনেও ছিল বৈচিত্র্যের স্বাক্ষর। তাঁর প্রয়াত পিতা সংগীত ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব খান আতাউর রহমান, তাঁর মা মাহবুবা রহমান, নীলুফার ইয়াসমীনের গান এবং নিজের গানও করেছেন। ‘মনমাঝি তোর বইঠা নে রে’, ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে’, ‘জীবন সে তো পদ্মপাতার শিশিরবিন্দু’ ইত্যাদি গান হৃদয় ছুঁয়ে গেছে। ‘যদি আর দেখা না-ই হয়’—বাবার এই গানটি গাইতে গিয়ে কান্নায় তাঁর কণ্ঠ আড়ষ্ট হয়ে গেছে। গানটি আর শেষ করতে পারেননি। সরাসরি প্রচারিত বলে দর্শক এটি দেখতে পেয়েছেন এবং মোটেও অস্বাভাবিক মনে হয়নি। গানের ফাঁকে ফাঁকে কথোপকথনে তিনি যেমন সরলতার পরিচয় দিয়েছেন, তেমনি গান পরিবেশনও করেছেন সহজ-সরলভাবেই। এত কিছুর পরও আমরা বলব, তিনি এখনো পিতামাতার যোগ্য উত্তরসূরি হয়ে উঠতে পারেননি। পিতামাতাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার সাধনাই একজন সাধক সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এ ব্যাপারে শিল্পীর সজাগ, সনিষ্ঠ ও পরিশ্রমী অগ্রযাত্রা আশা করি।
গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটে পারভেজ আমিনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় মাছরাঙা টিভিতে প্রচারিত হলো টেলিছবি অপরাহ্ণের আলো। এতে অভিনয় করেছেন নাদিয়া, আজাদ আবুল কালাম, মামুনুর রশীদ প্রমুখ।
ছবিটির গল্প সংক্ষেপে এ রকম—অর্পার স্বামী স্থপতি রাহাত হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। এদিকে অর্পা মহিনের সন্তান অবৈধভাবে গর্ভে ধারণ করে দিন কাটাচ্ছে। সে এখন কী করবে স্থির করতে না পেরে ছুটে যায় তার স্বামীর ডাক্তারের কাছে। জানতে চায় রাহাত বাঁচবে কি না। সে ডাক্তারকে সব খুলে বলে, রাহাত বাঁচলে সে গর্ভপাত ঘটাবে আর না বাঁচলে সে মহিনের সন্তানের মা হবে। ডাক্তার জানায়, রিপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত কিছুই জানানো সম্ভব নয়। এভাবে নানা ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্য দিয়ে রাহাত বেঁচে যায় এবং অর্পার গর্ভের সন্তানও জন্ম নেয়। বিষয়টি জানা যায় অনেক দিন পর। শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, সামনের লনে অর্পার সন্তান খেলছে আর পেছনে হুইলচেয়ারে ঘরের মধ্যে রাহাত গ্লাস ধরতে গিয়ে ভেঙে ফেলছে। অর্পা ছুটে এসে রাহাতকে অনুশাসন করছে, কেন তাকে ডাকেনি। এভাবে অর্পা ও রাহাতের সুখময় দাম্পত্য জীবনের দৃশ্য দিয়ে শেষ হয় অপরাহ্ণের আলো
কিন্তু টেলিছবিটি শেষ হতেই মনে প্রশ্ন জাগে, তাহলে মহিনের কী হলো? মহিনের সন্তানই বা কী করে অর্পা ও রাহাতের সন্তান হলো? ছবিতে এটি দেখানো হয়নি। আর দেখানো হয়নি বলেই কাহিনিতে অপূর্ণতা ও অবিশ্বস্ততার ফাঁক রয়ে যায়।
আরেকটি বিষয় অতিনাটকীয়, অপরিণত এবং অপ্রয়োজনীয়ও মনে হয়েছে। তা হলো প্রথম সাক্ষাতে ডাক্তারের সঙ্গে অর্পার অতিনাটকীয় সংলাপ। জোর করে ডাক্তারের বাসায় ঢোকা ঠিক আছে, কিন্তু তার পরের সংলাপগুলো স্বাভাবিক ও বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। তারপরও বলব, গতানুগতিক ও বস্তাপচা প্রেমকাহিনির চেয়ে টেলিছবিটি ছিল আকর্ষণীয় ও আবেদনময়। আর ছবির বক্তব্যটি ছিল আমাদের সমাজ-সংস্কৃতির জন্য মঙ্গলময় ও বিশ্বস্ত। অর্পা শেষ পর্যন্ত তার অসুস্থ স্বামীকে ফেলে মহিনের সঙ্গে চলে যায়নি। মহিনের সন্তানের মা হয়েও সে অসুস্থ রাহাতকে নিয়ে সুখের ঘর বেঁধেছে। এখানেই ফুটে উঠেছে নির্মাতার পরিপক্বতা। ধন্যবাদ পারভেজ আমিনকে, কিছু অমীমাংসিত প্রশ্নের পরেও গণমাধ্যমের উপযোগী একটি টেলিছবি উপহার দেওয়ার জন্য।
২ ডিসেম্বর রাত ৯টায় বিটিভিতে প্রচারিত হলো এ সপ্তাহের নাটক খোলা হাওয়া। লিটু শাখাওয়াতের রচনায় নাটকটি প্রযোজনা করেছেন এস এম নোমান হাসান খান।
নাটকের গল্পটি সংক্ষেপে এ রকম: মফস্বলের পাড়ায় খেলার মাঠের সংগঠক মাসুম। এই পরিচয় নিয়েই তার বাবা-মা গর্বিত। সেই মাঠের টানে তার খালা ঢাকা থেকে দুই শিশুসন্তানকে খেলানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে এসেছে মাসুমদের বাসায়। মাসুম ভালোবাসে রুমাকে, কিন্তু রুমা তাকে বাউণ্ডুলে বলে পাত্তা দেয় না। এর মধ্যে জাফর ঠিকাদার চক্রান্তের মাধ্যমে মাঠ দখলে নিয়ে বহুতল ভবন বানানো শুরু করে। এরপর মাসুমের নেতৃত্বে গড়ে ওঠে প্রতিরোধ আন্দোলন। হয় মানববন্ধন। তখন রুমা এই আন্দোলনে যোগ দেয়। দুর্বার আন্দোলনের মুখে ভবন নির্মাণ স্থগিত হয়, জয় হয় মাসুমদের। এরপর রুমা হাত বাড়িয়ে দেয় মাসুমের দিকে আর মাসুম সেই হাত ধরে।
প্রথমেই বলব, নাটকটির মধ্যে কয়েকটি ইতিবাচক দিক লক্ষণীয়। যেমন আমাদের সমাজজীবনে খেলার মাঠ ও খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরা। দুই, ভূমিদস্যুদের দৌরাত্ম্য ও তাদের আগ্রাসন। তিন, নাটকটিতে অনেক নতুন অভিনেতা-অভিনেত্রীর সমাহার। তবে নতুনদের নির্বাচনের ক্ষেত্রে নির্মাতারা মঞ্চনাটকের দিকে হাত বাড়ালেই বোধ হয় ভালো করতেন। আরেকটি লক্ষণীয় দিক হলো, নাটকটিতে বাইরের দৃশ্য বেশি থাকায় বিটিভির গতানুগতিক ইমেজ থেকে বেরিয়ে আসা।
তবে নাটকের সমস্ত ঘটনা, সংলাপ, দৃশ্যায়ন—সবই আবর্তিত হয়েছে খেলার মাঠকে ঘিরে। দেখে মনে হয়েছে এদের কারও যেন কোনো ব্যক্তিগত জীবন, পেশাগত জীবন নেই এবং তার দায়-দায়িত্ব বলেও কিছু নেই। এভাবে দৃশ্য সাজালে সেটি আর নাটক মনে হয় না, মনে হয় জীবন্তিকা। যেমন নাটকের নায়ক মাসুমের প্রায় সব দৃশ্যই খেলার মাঠে, না হয় খাবারের টেবিলে। ব্যক্তিগত জীবনে সে পড়ালেখা করে না চাকরি করে—সেসব নিয়ে একটি দৃশ্যও নেই। আবার নায়িকা রুমারও একই অবস্থা, তার দৃশ্য মানেই দুই বান্ধবীর সঙ্গে মাসুমকে নিয়ে গসিপ। এভাবে কেবল দৃশ্যের পর দৃশ্য সাজালেই তো নাটক হয় না। পুরো নাটকের মধ্যে একটি চরিত্রকেই মনে হয়েছে জীবন্ত, সেটি ঠিকাদার জাফর। আর সেই চরিত্রে ফারুক আহমেদের অভিনয়ও ছিল অসাধারণ। এ ছাড়া বাকি সব চরিত্রই প্রায় মৃত, না হয় অর্ধমৃত।

শেষ তবে, শেষ নয়


স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডি ছবির পোস্টার২০১২ সালে ঘোষণা হয়েছিল। আসতে চলেছে স্টার ওয়ার্স সিক্যুয়াল ট্রিলজির দ্বিতীয় কিস্তি। কথা রেখেছে ওয়াল্ট ডিজনি। লুকাস ফিল্মের সঙ্গে হাত মেলানোর পর এবার আসতে চলেছে স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডি। হলিউড দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় আছে আর স্টার ওয়ার্স-এর নাম শোনেনি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এই সিরিজের পুরোধা কাহিনিকার জর্জ লুকাস ২০১২ সালে নিজের সন্তান স্টার ওয়ার্সকে বিক্রি করে দেন ওয়াল্ট ডিজনির কাছে। এরপর বেশ অস্থিরতার ভেতর দিয়ে যেতে হয়েছে এই সিরিজের ভক্তদের। যদিও এখনো সেই অস্থিরতা কাটেনি পুরোপুরি।
২০১৫ সালে স্টার ওয়ার্স: দ্য ফোর্স অ্যাওয়াকেন্স মুক্তি পেয়েছিল। ব্যবসাসফল হয়েছিল চলচ্চিত্রটি। এবার এপিসোড ৮–এর পালা। পারবে তো? ইতিমধ্যে অবশ্য ইউটিউবে বেশ ঝড় তুলে দিয়েছে দ্য লাস্ট জেডির সঙ্গে সম্পৃক্ত সব ভিডিও। প্রযোজনায় থাকছে বরাবরের মতো লুকাস ফিল্ম। আর পরিবেশনা করছে ওয়াল্ট ডিজনি স্টুডিওস মোশন পিকচার্স। এবারের ছবিতে শেষবারের মতো প্রয়াত অভিনেত্রী ক্যারি ফিশারকে দেখা যাবে। ২০১৬ সালে মারা যান ফিশার। ফিশারের সঙ্গে ছবিতে আরও থাকছেন পুরোনো স্টার ওয়ার্স টিমের মার্ক হ্যামিল, অ্যাডাম ড্রাইভার, ডেইজি রিডলি, অস্কার আইজ্যাক, জন বোয়েগা, গোয়েন্ডোলিন ক্রিস্টি, অ্যান্ডি সেরটিকসসহ আরও অনেকে। নতুন যোগ দিতে চলেছেন লরা ডার্ন, বেনিসিও ডেল টরো ও কেলি ম্যারি ট্র্যান।
১৯৭৭ সালে শুরু হয় ‘স্টার ওয়ার্স’ সিরিজের যাত্রা। শুরুটা হয়েছিল প্রিন্সেস লিয়ার নেতৃত্বে পরিচালিত একদল বিদ্রোহীকে নিয়ে। গ্যালাক্টিম এম্পায়ারের স্পেস স্টেশন ‘ডেথ স্টার’ ধ্বংস করা ছিল তাদের মূল লক্ষ্য। কিন্তু ধরা পড়ে যান প্রিন্সেস। বন্দী করা হয় তাঁকে। দারুণ ব্যবসা সাফল্য পেয়েছিল স্টার ওয়ার্সের প্রথম কিস্তি। এরপর একে একে ১৯৮০ সালে দ্য এম্পায়ার স্ট্রাইক্স ব্যাক এবং ১৯৮৩ সালে রিটার্ন অব দ্য জেডি মুক্তি পায়। সিক্যুয়ালগুলো হতাশ করেনি কাউকে। ১৯৯৯ সালে যাত্রা শুরু হয় স্টার ওয়ার্স–এর প্রিকুয়্যাল ট্রিলজির। একে একে মুক্তি পায় দ্য ফ্যান্টম মিনেস (১৯৯৯), দ্য অ্যাটাক অব দ্য ক্লোনস(২০০২) এবং ২০০৫ সালের বহু আলোচিত রিভেঞ্জ অব দ্য সিথ। এরপর মুক্তি পেয়েছে ট্রিলজির দ্বিতীয় কিস্তি সিক্যুয়াল ট্রিলজি। আর সেটার সূত্র ধরেই এবার আসতে চলেছে দ্য লাস্ট জেডি। এই ছবির পর ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর নতুন সিক্যুয়াল নিয়ে আসবে ওয়াল্ট ডিজনি আবার।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে কাল ৮ ডিসেম্বর স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডির উদ্বোধনী প্রদর্শনী হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায়। তবে সবার জন্য প্রেক্ষাগৃহের দরজা খুলে যাবে ১৫ ডিসেম্বর। সেদিন বিশ্বব্যাপী মুক্তি পাবে স্টার ওয়ার্স: দ্য লাস্ট জেডি

অ্যাডেলের এক দফা, এক দাবি


অ্যাডেলতারকারা নানা ধরনের সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যান। বিভিন্ন ইস্যুতে আওয়াজ তোলেন। দুর্যোগের সময় দাঁড়ান মানুষের পাশে। কিন্তু একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর সেই ইস্যু, দুর্যোগ বা কর্মকাণ্ডের সঙ্গে কজন লেগে থাকতে পারেন? কজনই বা মনে রাখেন দুর্গতদের ভবিষ্যতের কথা।
হয়তো তাঁদের সংখ্যা খুব কম। ব্রিটিশ কণ্ঠশিল্পী অ্যাডেল তাঁদের একজন। নিজের কাজ ও দায়িত্ববোধ ভোলেন না তিনি। ছয় মাস পরও অ্যাডেল সোচ্চার লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের অধিকার নিশ্চিতে। এখনো কাজ করে যাচ্ছেন দুর্গতদের জন্য।
গত জুন মাসে যুক্তরাজ্যের লন্ডনের গ্রেনফেল টাওয়ারে ঘটে যায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। তাতে প্রাণ হারান প্রায় ৭১ জন। সেই দুর্ঘটনার রাত থেকেই এ নিয়ে সোচ্চার অ্যাডেল। গভীর রাতেই দুর্ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন, কথা বলেছিলেন দুর্গত ব্যক্তিদের সঙ্গে। তাঁদের সহায়তায় তহবিলও গঠন করেছিলেন।
এখন ওই দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছেন এই গায়িকা। সম্প্রতি টুইটারে ভক্তদের প্রতি একটি পিটিশনে সই করার অনুরোধ করেছেন তিনি। সেখানে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী যেন গ্রেনফেল টাওয়ার দুর্ঘটনার পেছনের আসল কারণ উদ্‌ঘাটনে জোর দেন, এর যেন সুষ্ঠু তদন্ত হয়। অ্যাডেলের একটাই দাবি, এই দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে যেন অন্যায় না হয়।
ছয় মাস পার হয়ে গেলেও গ্রেনফেল টাওয়ার দুর্ঘটনার তদন্তে কোনো প্রত্যক্ষ অগ্রগতি না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপ রয়েছে অ্যাডেলের। এক টুইটে তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের থেমে গেলে চলবে না। এ ঘটনা নিয়ে আমাদের কথা চালিয়ে যেতে হবে। কিছু যে হচ্ছে না, কিছু এগোচ্ছে না, এটা বলে যেতে হবে।’ এ যেন অ্যাডেলের এক দফা, এক দাবি।

বুধবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০১৭

৪ বছর পর ফিরলেন ভাবনা


৪ বছর পর ফিরলেন ভাবনা
সময়ের অন্যতম আলোচিত মডেল-অভিনেত্রী ভাবনা দীর্ঘ চার বছর পর কাজ করলেন একটি টিভি বিজ্ঞাপনে। আরেক জনপ্রিয় নির্মাতা অনিমেষ আইচের পরিচালনায় নির্মিত এই বিজ্ঞাপনটি এসিআই ওয়াটার পাম্পের।
সম্প্রতি বিজ্ঞাপনটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে। এই বিজ্ঞাপনটির মধ্য দিয়ে প্রায় ছয় বছর পর বিজ্ঞাপন নির্মাণ করলেন অনিমেষ।
এদিকে জানা গেছে এই বিজ্ঞাপনটির পর আগামী সপ্তাহেই ভাবনা কাজ করতে যাচ্ছেন হুয়াওয়ে মুঠোফোনের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে।

ক্যাটরিনার মন ভালো করতে সালমান খানের নাচ

সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফের ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’ ছবিটি মুক্তি পাবে বড়দিন উপলক্ষে ২২ ডিসেম্বর। এখন চলছে প্রচারণার ব্যস্ততা।
ক্যাটরিনার মন ভালো করতে সালমান খানের নাচ
সম্প্রতি সিনেমাটির প্রচারে একটি ড্যান্স রিয়েলিটি শো-তে এসেছিলেন সালমান খান ও ক্যাটরিনা কাইফ। ওই অনুষ্ঠানে এমন ঘটনা ঘটল যাতে চোখের জল বাঁধ মানল না ক্যাটরিনার। অনুষ্ঠানে এক প্রতিযোগী সালমানের ‘তেরে নাম’ সিনেমার একটি গানে পারফর্ম করেন। আর তা দেখে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন ক্যাটরিনা। কেঁদেই ফেলেন তিনি।
এরপর শোয়ের নির্মাতারা কিছুক্ষণের জন্য শ্যুটিং বন্ধ রাখেন। জানা গেছে, ক্যাটরিনার মন ভালো করতে এগিয়ে আসেন সালমান খান। তাকে হাসাতে নাচেনও তিনি। নিজের সুপারহিট সিনেমা ‘সুলতান’র ‘জগ ঘুমিয়া’ গানে নাচতে দেখা যায় সালমানকে। আর নাচতে গিয়ে তিনি বারবার ক্যাটরিনার দিকে ইশারা করছিলেন, যাতে বলিউড ডিভা একটু হাসেন। এরপর শো-র জাজ ও কোরিওগ্রাফার রেমো ডি সুজাও সালমানের সঙ্গে নাচে যোগ দেন।
এই ছবি দিয়ে দীর্ঘদিনের বিরতি ভেঙ্গে পর্দার জুটি হয়ে ফিরছেন এই দুই তারকা। মাঝে সম্পর্কের বৈরিতায় অনেকেই ভেবেছিলেন আর কখনোই হয়তো ক্যাটের নায়ক হবেন সাল্লু ভাই।
কিন্তু ‘এক থা টাইগার’ ছবির সাফল্যে অনুপ্রাণিত হয়ে আবারও জুটি বাঁধলেন তারা। বেশ জমজমাট এক গল্পে নির্মিত হয়েছে ‘টাইগার জিন্দা হ্যায়’। বছরের শেষ ধামাকা হিসেবেই ধরা হচ্ছে এই ছবিটি।

নতুন মিশনে সানি লিওন!

বলিউডে হালের সবচেয়ে আবেদনময়ী অভিনেত্রী সানি লিওন। বলিউডে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। আর বলিউডের আইটেম গান মানেই তার গ্লামার উপস্থিতি।
নতুন মিশনে সানি লিওন!
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে এ অভিনেত্রীর সিনেমা 'তেরা ইন্তেজার'। এরই মধ্যে নতুন মিশনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন এ অভিনেত্রী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, একটি তামিল সিনেমায় চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সানি। কিন্তু এতে নিজের আবেদনময়ী ইমেজ ভেঙে সম্পূর্ণ ভিন্নরূপে হাজির হবেন তিনি। ঐতিহাসিক ঘরানার এ সিনেমাটির জন্য ১৫০ দিন বরাদ্দ করেছেন সানি।
এ প্রসঙ্গে সানি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, এই সিনেমার পর আমার ভাবমূর্তি সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে। আমি সবসময়ই অ্যাকশন সিকোয়েন্স করতে পছন্দ করি। আমি এই ধরনের একটি চিত্রনাট্যের জন্য এতদিন অপেক্ষা করছিলাম এবং ইতোমধ্যে প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি।
তামিল, তেলেগু, মালায়ালাম ও হিন্দি ভাষায় নির্মিতব্য সিনেমাটির শুটিং আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে।

হাসপাতালের টয়লেট থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার

কুমিল্লা নগরীর সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটাল নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালের টয়লেট থেকে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পরে মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
হাসপাতালের টয়লেট থেকে ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার
আজ বুধবার দুপুরে আব্দুল সালাম (৪৫) নামে ব্যবসায়ীর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়নের মিরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল মোতালেবের ছেলে নিহত আব্দুল সালাম।
নিহতের স্ত্রী সোমা আক্তার জানান, গত মঙ্গলবার দুপুরে কুমিল্লা সিডি প্যাথ অ্যান্ড হসপিটালে ডাক্তার দেখাতে যান তার স্বামী আব্দুল সালাম। দুপুর সোয়া ২টার দিকে সর্বশেষ স্বামীর সঙ্গে তার মোবাইলে কথা হয়। তখন তার স্বামী তাকে জানিয়েছিলেন রিপোর্টের জন্য তিনি অপেক্ষা করছেন।
কিন্তু পরবর্তীতে বিকেল ৩টা থেকে তাকে আর মোবাইল ফোনে পাওয়া যায়নি। ওই দিন সন্ধ্যায় হাসপাতালে গিয়ে স্বামীর খোঁজ করে কোনো সন্ধান না পেয়ে বুধবার সকালে এ বিষয়ে কোতয়ালী মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এ বিষয়ে সিডি প্যাথ অ্যান্ড হাসপিটাল কর্তৃপক্ষ জানায়, বুধবার সকাল থেকে হাসপাতালের ২য় তলার একটি টয়লেটের দরজা দীর্ঘক্ষণ বন্ধ থাকায় সন্দেহ হয়। পরে দুপুরের দিকে পুলিশকে খবর দেয়া হয়।
কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) সালাহ উদ্দিন বলেন, হাসপাতালের টয়লেটে গিয়ে ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ভেতর থেকে টয়লেটের দরজা বন্ধ ছিল। পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি প্রেরণ করা হয়েছে।

ডিএনসিসি নির্বাচনে উইনেবল প্রার্থী খুঁজছি : কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনে (ডিএনসিসি) মেয়র নির্বাচনের জন্য আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সংকট নেই। তবে আমরা যে প্রার্থী জয়ী হতে পারবে, অর্থাৎ উইনেবল প্রার্থী আমরা খুঁজছি, কয়েকজনকে নিয়ে আমরা ভাবনা-চিন্তা করছি।’
ডিএনসিসি নির্বাচনে উইনেবল প্রার্থী খুঁজছি : কাদের
আজ বুধবার সচিবালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, (ডিএনসিসি) নির্বাচনটা নিয়ম অনুযায়ী হবে। এখানে তড়িঘড়ি করে কিছু করার উপায় নেই। ৯০ দিনের মধ্যে ইলেকশন করতে হবে। এটা কারো এড়িয়ে যাওয়ার উপায় নেই।
‘বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, একটা মানুষ মরে গেল, মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে তড়িঘড়ি করে ইলেকশন দেয়া হচ্ছে। হয়তো তারা প্রস্তুত নয় ইলেকশনের জন্য। তারা প্রস্তুত না থাকলে নির্বাচন তো থেমে থাকবে না।
৫ জানুয়ারির নির্বাচনে তারা অংশ নেয়নি, নির্বাচন থেমে থাকেনি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার অপবাদটা দিতে পারছে। কিন্তু আইপিইউ (ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়ন) সম্মেলন ও সিপিসি (কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি কনফারেন্স) হওয়ার পর তো এ অভিযোগ ধোপে টেকে না।’
আনিসুল হকের মতো যোগ্যপ্রার্থী খুঁজে পাওয়া কী সম্ভব হবে। প্রার্থী নির্বাচনে চাপ অনুভব করছেন কিনা-এমন প্রশ্নে কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ দেশের একটি বড় ও পুরনো পার্টি। আওয়ামী লীগে প্রার্থীতার সংকট নেই। আমরা আনিসুল হককে দিয়েছিলাম তিনি বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের প্রশ্নে আমাদের কাছে ছিলেন। হয়তো তিনি সরাসরি রাজনীতি করেননি। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে যারা বিশ্বাসী সে রকম প্রার্থীও আমরা দিতে পারি।
‘অথবা দলের মধ্য থেকেও আমরা নৌকার প্রার্থী...এবার তো বিভিন্ন পার্টির প্রতীকে নির্বাচন হবে। কাজেই আমরা গভীরভাবে চিন্তা-ভাবনা করছি। আনিসুল হক অনেকগুলো কাজ শুরু করে গেছেন। আমরা এখন এমন প্রার্থী দেব যে প্রার্থী আনিসুল হকের অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করবে এবং জনগণও বিশ্বাস করবে যে আনিসুল হকের কাজ এ ব্যক্তিকে দিয়ে সম্পন্ন করা সম্ভব। এমন ব্যক্তিকেই খোঁজা হচ্ছে।
তিনি বলেন, দলের ভেতরেও (প্রার্থী করা নিয়ে চিন্তা) করছি, আওয়ামী লীগ সমর্থক কিন্তু আওয়ামী লীগের নেতা নন এমন প্রার্থীদের নিয়েও ভাবনা-চিন্তা করছি। চূড়ান্ত হওয়ার আগে তো কিছু বলতে পারছি না। সিডিউল ডিক্লার হলে সময়মতো প্রার্থিতা ঘোষণা করব।
আনিসুল হকের পরিবার থেকে কাউকে প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ার পরিকল্পনা আছে কিনা-জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখুন পরিবারের লোকজন শোকের মধ্যে আছে। সবাইকে অনুরোধ করব এ প্রসঙ্গ থেকে আমরা আপাতত দূরে থাকার। তার পরিবারের মধ্যে কেউ প্রার্থী হবেন কি-না, সেই সময় আসুক।
মন্ত্রী বলেন, পরিবারের লোক হিসেবে আমরা কাউকে মনোনয়ন দেব না। আমরা মনোনয়ন দেব তাকে, যে নির্বাচনে জয়ী হতে পারবে।
উল্লেখ্য, ডিএনসিসির মেয়র আনিসুল হক গত ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ সময় রাত ১০টা ২৩ মিনিটে লন্ডনের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। গত ১ ডিসেম্বর থেকে ডিএনসিসি’র মেয়রের পদ শূন্য ঘোষণা করে সোমবার গেজেট প্রকাশ করা হয়।
বিএইচ

আজ মরমী সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী

আজ মরমী সাধক হাসন রাজার মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন তিনি। হাওর-বাওড় ও মেঘালয় পাহাড়ের পাদদেশের জেলা সুনামগঞ্জ ‘হাসন রাজার দেশ’ হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু মরমী এই সাধকের জন্ম-মৃত্যুতে বরাবরই খুব একটা আয়োজন থাকে না সুনামগঞ্জে। পারিবারিকভাবেও কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়নি এ বছর।
১৮৫৪ সালের সালের ২১ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ শহরের লক্ষণশ্রীর ধনাঢ্য জমিদার পরিবারে জন্ম নেওয়া মরমী সাধক হাসন রাজা জীবদ্দশায় প্রায় ২শ গান রচনা করেছেন।
হাসন রাজার গানে সহজ সরল স্বাভাবিক ভাষায় মানবতার চিরন্তন বাণী যেমন উচ্চারিত হয়েছিল তেমনি আধ্যাত্মিক কবিও ছিলেন তিনি। সকল ধর্মের বিভেদ অতিক্রম করে তিনি গেয়েছেন মাটি ও মানুষের গান।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরও ১৯২৫ সালে কলকাতায় এবং ১৯৩৩ সালে লন্ডনে হিবার্ট বক্তৃতায় হাসন রাজার দুটি গানের প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু প্রখ্যাত এই মরমী সাধকের জীবন-দর্শন ও গানের চর্চা এখন আর প্রাতিষ্ঠানিকভাবে হয় না বললেই চলে।
হাসন রাজার মৃত্যু বা জন্মতারিখ ঘিরে প্রতিবছর এখানে লালনমেলার মতো সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাসনমেলারও দাবি তুলেছেন স্থানীয়রা।
হাসন রাজার প্রপৌত্র সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দেওয়ান জয়নুল জাকেরীন হাসন রাজার গানের চর্চা কম হচ্ছে স্বীকার করে বললেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি হাসনরাজার গানের চর্চা বাড়ানোর’।

জ্যাককে কেন বাঁচানো হয়নি ব্যাখ্যা দিলেন নির্মাতা

হলিউডের সাড়া জাগানো সিনেমা টাইটানিক। ২০ বছর আগে দর্শকদের এই অসাধারণ সিনেমাটি উপহার দিয়েছিলেন নির্মাতা জেমস ক্যামেরন। সিনেমার বেশ কিছু দৃশ্য দর্শক হৃদয়ে নাড়া দেয়। বিশেষ করে ক্লাইমেক্স দৃশ্যে জ্যাকের (লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও) মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি অনেকেই।
সিনেমা মুক্তির দীর্ঘ সময় পরেও জ্যাকের মৃত্যু দৃশ্যটি নিয়ে বিতর্ক রয়েই গেছে। অনেকেই মনে করেন, ইচ্ছে করলেই বাঁচানো যেত জ্যাককে। কারণ রোজ (কেট উইন্সলেট) যে পাটাতনের ওপর ভেসে ছিলেন সেখানে জ্যাকের জন্য যথেষ্ট জায়গা ছিল।
সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনে সাক্ষাৎকার দেন টাইটানিক সিনেমার পরিচালক জেমস ক্যামেরন। এ সময় দৃশ্যটি নিয়ে প্রশ্ন করা তাকে। জবাবে তিনি বলেন, ‘উত্তর খুবই সোজা কারণ চিত্রনাট্যের ১৪৭ নম্বর পৃষ্ঠায় বলা ছিল যে, জ্যাক মারা যাবে। খুবই সহজ। অবশ্যই এটি একটি সৃজনশীল ব্যাপার ছিল। পাটাতনটি রোজকে ভাসিয়ে রাখার জন্য যথেষ্ট বড় ছিল কিন্তু জ্যাককে নয়। আমি মনে করি সিনেমা মুক্তির ২০ বছর পর এসে এ ধরণের বিষয় নিয়ে আলোচনা করা বোকামি।’
তিনি আরো বলেন, ‘কিন্তু এতে প্রমাণ হয় সিনেমার মাধ্যমে জ্যাক এতটাই দর্শকের ভালোবাসা পেয়েছিলেন যে তার মৃত্যু দেখতে চাননি তারা। যদি সে বেঁচে থাকত তাহলে সিনেমার শেষটা অর্থহীন হয়ে যেত। সিনেমার গল্প মৃত্যু ও আলাদা হয়ে যাওয়ার গল্প নিয়ে। তাকে মরতে হতো। সেটা জাহাজের চিমনি মাথায় পড়ে অথবা যেভাবে হয়েছে, তাকে ডুবতে হতো। একেই বলে শিল্প। শিল্পগুণ বজায় রাখতে এই ঘটনাগুলো ঘটে, এটি পদার্থ বিজ্ঞানের নিয়মে হয় না।’
এর আগে সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডেলেইডের ওয়েস্টমিনস্টার স্কুলের ১০ ছাত্রী অঙ্কের হিসেব কষে জানান— জ্যাককে রীতিমতো বাঁচানো যেত। এই ছাত্রীদের বক্তব্য— জ্যাক আর রোজ যদি তাদের শরীরে লাইফ জ্যাকেট পরে পাটাতন ধরে ভেসে থাকত, তা হলে তাদের মরতে হতো না। ন্যাশনাল ম্যাথস ট্যালেন্ট কোয়েস্টে অংশ নেয়া ওই ছাত্রীরা জানায়, দরজার প্লবতাকে হিসেব করে তারা দেখেছে, যদি তার উপরে লোক চড়ে বসে, তবে তা ভেসে থাকার ক্ষমতা কমে না। বরং তা বেড়ে যায়। সুতরাং জ্যাক ও রোজ দুজনেই বাঁচতে পারতেন। আর সিনেমায় দেখা যায়, জ্যাক তলিয়ে যাওয়ার খানিক পরেই রোজকে উদ্ধার করে একটি লাইফ বোট। সুতরাং জ্যাক পাটাতনে থাকলে সেও উদ্ধার পেত।

যে শার্ট গায়ে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল কারিনা!

কারিনা কাপুর খান। বলিউডের হার্টথ্রুব অভিনেত্রীদের একজন।

পতৌদি নবাবের পুত্রবধূ এবার ১৪০০ মার্কিন ডলারের শার্ট গায়ে ঝড় তুললেন। আর তার এ দামি শার্ট পরিহিত ছবি ভাইরাল হয়ে গেছে নেট দুনিয়ায়।
সাধারণত ছিমছাম ক্যাজুয়্যাল পোশাকেই দেখা যায় কারিনা কাপুর খানকে। সম্প্রতি একটি পার্টিতে গিয়েছিলেন কারিনা কাপুর। যেখানে ইটালিয়ান ফ্যাশান ব্রান্ড গুসির একটি হলুদ রঙের প্রিন্টেড রেশম শার্ট পরতে দেখা যায় নায়িকাকে।
কারিনার এই শার্টের দাম শুনলে আপনিও হয়ত আঁতকে উঠবেন। ১৪০০ মার্কিন ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় এক লাখ ১৭ হাজার টাকা।
এর আগে, একবার মুম্বাই এয়ারপোর্টে হালকা আকাশি রঙের সমুদ্র সৈকতের ছবি আঁকা একটা টি-শার্ট ও হলুদ টি-শার্ট পরতে দেখা গিয়েছিল সাইফ আলী খানের স্ত্রীকে।